ভালবাসা কি?কোনটা সত্যিকারের ভালবাসা,What is Real Love


ভালবাসা কি?What is Real Love.


ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফাইনাল একজন ছাত্র তার বাবাকে এসে বললো,বাবা তোমার সাথে কিছু দরকারী কথা ছিলো,আমার মনে হয় আমার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং নয়।
আমি Photographi তে আমার career গড়ে তুলতে চাই।
তুমিতো জানই আমার Photographi তে আগে থেকে কতটা ইচ্ছা ছিলো।আর এখন আমার হাতে একটা ভালো সুযোগ ও এসেছে।আমি তোমার কথামত ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু কোন দিনই ইঞ্জিনিয়ারিং এ কোন আনন্দ খুঁজে পাই নি।
ক্লাসে প্রতি মূহুর্তে আমার দম আটকে আসতো।
যেখানে Photographi তে আমি প্রতি মূহুর্তে নতুন আনন্দ খুঁজে পাই। তাই আমি কলেজ থেকে ড্রপআউট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

কথাটা শুনার পর তার বাবা উত্তরে বললেন,অপধার্থ এত টাকা কস্ট করে তোমায় এই জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি করলাম।ছি ছি আমরা সমাজে মুখ দেখাবো কি করে।
ঐসব photographi তে কোন ভবিষ্যত নেই।
হয় ইঞ্জিনিয়ারিং Complete করো আর না হয় এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও।

আবার একজন বয়ফ্রেন্ড তার গার্লফ্রেন্ডকে বললো তোমাকে বলেছিলাম না এউ সব জিন্স টপ পড়তে না তার পর ও আবার পরেছো।
মেয়েটা বললো আরে বাবা তা পরলে কি হয়েছে এখন এইসব সবাই পরে।উত্তরে ছেলেটা বললো,ভালো তাহলে অন্য মেয়েরা জিন্স টপ পরে বলে তোমায় ও যদি জিন্স টপ পরতে হয়,তাহলে তোমার সঙ্গে আমার আর রিলেশন এ থাকা দরকার নেই।
মেয়েটা বললো তুমি এই রকম কেনো করছো,
কারন ছেলেটা বললো আমি তোমাকে ভালবাসি।
সত্যি এই গুলি কি তাহলে ভালবাসা।যদি একটু গভীর ভাবে লক্ষ করেন আপনি ও বুঝতে পারবেন এই গুলা ভালবাসা না, এই গুলা কিছু ব্যক্তিগত চাহিদা।
যে গুলা আমরা ভালবাসার সাথে গলিয়ে ফেলেছি।

একজন মানুষের জিবনের দুই ধরনের চাহিদা থাকে।No1. physical
No2.Emotional.


ভিবিন্ন সম্পর্ক গড়ে তুলার মধ্য দিয়ে মানুষ Basically এই দুই ধরনের চাহিদা গুলো মেটানোর চেষ্টা করে।
যে চাহিদাগুলোকে আমিরা ভূলবসত আজ ভালোবাসার নাম দিয়েছি।

আমার একটা Emotional চাহিদা রয়েছে এই World এত সাথে সব সময় Connected  থাকা।
আর তারজন্য দরকার আমার একটা মোবাইল।
এবার যদি আমি এই চাহিদাকে ভালবাসার নাম দিয়ে বলে ফেলি,আমি আমার ফোনটাকে ভিষন ভালবাসি।
আমার একটা চাহিদা রয়েছে, আমার মনের কথাগুলো কারো সাথে শেয়ার করার।আর তাই আমি একটা Best Friend বানিয়েছি।এবার এই চাহিদাকে আমি ভালবাসার নাম দিয়ে দিয়েছি।আর ঠিক আমার মতই উল্টা দিকে যিনি রয়েছেন।তিনিও তার কোন একটা চাহিদা পুরন করার জন্য আমার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।
যাকে তিনিও আমার মত ভালবাসার নাম দিয়ে দিয়েছেন।
এবার যতক্ষন দু জনের চাহিদা এক পথে হাটছে ততক্ষন তো ভালবাসা ঠিক আছে।
কিন্তু যেই সময় দুজনের চাহিদা বিপরীত দিকে হাটিতে শুরু করে,তখন আসল খেলাটা চোখে পড়ে।
তখন জামেলা শুরু হয় আর ভালবাসা কোথায় যেনো উদাও হয়ে যায়।যে লায়লা মজনু একে অপেরের জন্য একদিন পাগল ছিলো,তারাই একে অপরের শত্রু হয়ে যায়।এটাই কি তাহলে ভালবাসা?

আচ্ছা যদি এটা ভালবাসা না হয়,তাহলে আসল ভালবাসা কি?

তার মানে কি তার বাবাকে ছেলেকে বলা উচিত,হে মনা তুই খুব ভালো ডিসিশন নিয়েছিস।
যা এবার পড়া বাদ দিয়ে photographi শুরু কর।
বা সেই ছেলেটা মেয়েটাকে এমন কিছু বলা উচিত,
হুম জিন্স টপ এ তো তোমায় সেই লাগছে।
মাঝে মাঝে হট পেন্ট ও তো পরতে পারো।তাহলে কি এটা ভালবাসা,কি মনে হয়।
এই দুটোর কোনটাই ভালবাসা না।একটা কঠিন বাস্তব সত্য হলো ভালবাসা এমন একটা জিনিষ যেটা দেওয়ার মত ক্ষমতা আমাদের ৯৯% মানুষের নেই।
তার কারন আমরা কোন জিনিষ কাউকে তখনি দিতে পারি।যখন এই জিনিষটা আমাদের কাছে আগে থেকে আছে।যেটা আমার নিজের কাছে নেই।
সেটা আমি অন্য আরেকজনকে কিভাবে দেবো।
আমাদের সবার মনে সব চেয়ে বড় যে ইচ্ছা বা আকাক্ষা রয়েছে।সেটা হলো সমস্ত রকম হাসি কান্না বেথা বেদনা সব কিছু থেকে মুক্তি।
নিজের মধ্যে নিজের ভালবাসাকে আগে খুজে নিতে হবে।
নিজে নিজে আগে খুশি থাকতে শিখতে হবে।
তাহলে আপনি অন্য কাউকে ভালবাসা দিয়ে সুখি রাখতে পারবেন। নিজে নিজে খুশি না থাকলে অন্যের উপর মানুষ চাহিদা মেটানো শুরু করে দেয়।
এটা করো অটা করো এটা ভালো না অটা ভালো না এই সব।
এটাকে ভালবাসা না চাহিদা পুরন বলা হয়।

চাহিদার কখনো শেষ নাই একটা মিটালে আরেকটা জন্ম নিবে।আর অসম্পূর্ণ চাহিদা মানে অস্তিরতা।
আর অস্তিরতা এবং চাহিদা যেখানে রয়েছে।
সেখানে স্বার্থপরতা জণ্ম নেবেই।
আর স্বার্থপরতা আর ভালবাসা সম্পূর্ণ বিপরীত।
যখন আমরা সম্প্যর্ন স্বার্থহীন ভাবে সম্পুর্ন মানে একদম সম্পুর্ন zeroo চাহিদা থেকে কারো জন্য কিছু করি তখন সেটা হয় সত্যিকারের ভালবাসা।
যেখানে স্বার্থপরতা ও চাহিদার লেশ মাত্র নেই।
এবার ক'জন মানুষ আছেন যে বলতে পারেন যে হে আমি সত্যি নিজেকে নিজে ভালবাসি।যে আমার নিজের কাছে বা অন্যের কাছে কোন রকম চাহিদা নেই।
আমি সম্পুর্ন ভাবে পরিপূর্ণ খুবই কম। কারন আমরা সবাই কম বেশি যে কোন চাহিদার উপর Defented.
এই ভালবাসা শব্দটা ব্যবহার না করে চাহিদা শব্দটা ব্যবহার করা যথার্থ।

আচ্ছা তাহলে সেই বাবার কেইছটা কি হলো,সেই কেত্রে সেই বাবা যদি সত্যি ছেলেকে নিস্বার্থভাবে ভালবাসতো তাহলে তার ছেলেকে কি বলতো।
প্রথমত বাবা তার ছেলেকে কখনো অপদার্থ বলে রেগে উঠতো না।কারন তার বাবা আগে থেকে পরিপূর্ণ।
বাবা তার ছেলের কাছ থেকে চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই।
তাহলে তখন সে কি করতো।
ছেলেকে ঠান্ডা মাথায় নিজের অভিক্ষতা বুঝাতো।
কি করলে ভালো হবে কি করলে ভালো হবে না।
এবং তারপর ও যদি তার ছেলে না বুঝতো তাহলে কখনই থাকে Force করতো না।
যে বাবা যেটা চায় সেটাই করার জন্য।
কারন তার ছেলের কাছ থেকে তার চাহিদার কিছুই নেই।
সেতা সমাজে মুখ দেখাই হোক বা ছেলেকে মানুষের মত মানুষ করাই হোক।
এবার অনেকে হয়তো বলতে পারে, বাবা তার ছেলের প্রতি এইটুকু আসা এই টুকু চাহিদা থাকতেই পারে তাতে দোষের কি আছে।
দোষের কিছুই নেই তো,আমি কখন বললাম চাহিদা থাকাটা দোষের।
আমি শুধ্য এটুকু বলতে চাইলাম আমরা যে যেটাকে ভালবাসা বলে ভুল করি।
সেটা আসলে ভালবাসা না,সেটা আসলে চাহিদা।
আমি দোষগুণ কিছুই বিচার করছি না।
শুধু সত্যিকারের ভালবাসা কাকে বলে শুধু এটুকুই বুঝানোর চেষ্টা করলাম।
যে যখন আমরা সম্পুর্ণ স্বার্থহীন ভাবে Zeroo চাহিদা থেকে কারো জন্য কিছু করি।
তখন সেটা হয় সত্যিকারের ভালবাসা।

বন্ধুরা আজ আমি এই আলোচনা  থেকে সত্যিকারের ভালবাসা কি মোটামুটি একটু ধারনা দেওয়ার চেস্টা করেছি।

পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
যাতে তারা ও সত্যিকারের ভালবাসা সম্পর্কে জানতে পারে।
আর নিজের ভালবাসাকে আরো গভীর করতে পারে।
আল্লাহ হাফিজ,
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

                               
Previous Post Next Post