ফেসবুকের কিছু গুজব এই গুলো সত্যি না মিথ্যা জেনে নিন

ফেসবুকের কিছু গুজব এই গুলো সত্যি না মিথ্যা জেনে নিন

ফেসবুকের কিছু গুজব এই গুলো সত্যি না মিথ্যা জেনে নিন
ফেসবুকের গুজব 

হেলো বন্ধুরা এবাই কেমন আছেন?আসা করি সবাই অনেক ভালো আছেন।

আজকে আমরা ফেসবুকের কিছু প্রচলিত গুজব নিয়ে আলোচনা করবো।

আপনারা সবাই ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন যে গত বুধবার রাত থেকে ফেসবুকে একটা বড়সড় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। যেটা সারা পৃথিবীর সকল ইউজার বুঝতে পেরেছে, সমস্যাটি ফেসবুকে কিন্তু পোস্ট করা যাচ্ছিল না। গত বুধবার রাত থেকে কিংবা কারোর ফটোতে লাইক, কমেন্ট কোন কিছুই করা যাচ্ছিল  না অনেকে আবার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারেনি। এ সমস্যাটি কিন্তু এখন পর্যন্ত ঠিকঠাক ভালোমতো ঠিক করতে পারেনি ফেসবুক। ফেসবুক এর মত হোয়াটসঅ্যাপ এবং instagram  এ কিন্তু একই ধরনের সমস্যা  হয়েছিল। ফেসবুক দেখাতে পারেনি আসলে কি কারনে তাদের এই প্রবলেমটা হয়েছিল।
তবে তারা টুইট বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা খুব শিগ্রই এই প্রবলেম টি সমাধান করে দিবে। আমি যতটুকু জানি হয়তো ফেসবুকের সার্ভার ডাউন হয়ে গেছিল বা অনেক user ব্যবহার করার কারনে টেকনিক্যাল প্রবলেম হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে তাদের মত একটা গুজব তৈরি হয়ে গেছে যে ফেসবুক নাকি একটা গবেষণা চালাচ্ছে। 


হঠাৎ করে আমি ফেসবুক মেসেঞ্জার ওপেন করে দেখি আমার মেসেঞ্জারে ২০/২৫ টা মেসেজ পাঠাচ্ছে আমার বন্ধুরা।
হেলো

ফেসবুকের কিছু গুজব এই গুলো সত্যি না মিথ্যা জেনে নিন
আমি ফেসবুকে মেসেঞ্জারে পরিচালক যদি আপনার অ্যাকাউন্টে কে সচল রাখতে চান তাহলে এখন এই মেসেজটি আপনার ৩৫ টা বন্ধুকে  সেন্ড করেন তাহলে তাহলে আমরা বুঝতে পারব আপনার ফেসবুক মেসেঞ্জার ঠিক আছে। আপনার একাউন্টটি সচল আছে আর যদি না পাঠান তাহলে বুঝবেন আপনার অ্যাকাউন্ট সচল না। অতএভ আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিব। আপনার ফেসবুক একাউন্ট ইন টোটালি সারা জীবনের জন্য বন্ধ যাবে।আপনি  নিশ্চয় ইতিমত্যে এই মেজেছটা পেয়ে যাছেন।কেউ বা বাংলায় পেয়েছে কেউ আবার ইংরেজিতে পেয়েছেন কেউ হিন্ধি ফার্সি উর্দুতে পেয়ে গেছেন তাই না। আর আমরাও বাঙ্গালী সাথে সাথেই মেসেজটা ফরওয়ার্ড করে পাঠিয়ে দিচ্ছি। কারণ আমাদের ফেসবুক  বাঁচাতে হবে এত সখের একটা একাউন্ট। এত দিন থেকে ব্যবহার করতেছি আর এক  রাতে সামান্য কয়টা এসএমএস না পাঠানোর কারনে আমাদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক বা বন্ধ করে দেবে ফেসবুক তা কি হয়। আমরা সাথে সাথে আমাদের ৩৫ টা বা ৫০ টা বন্ধুকে select করে একদম মেসেজগুলো পাঠিয়ে দিচ্ছি। যার এর ফলে ঐ বন্ধুগুলো ভয়ে ভয়ে তাদের বন্ধুদের শেয়ার করতেছে। এর ফলে কোটি কোটি মানুষের কাছে কিন্তু মেসেজটি পৌঁছে গেছে  এক দেড় ঘন্টা দুই ঘন্টা বা একদিনের মধ্যে সারা পৃথিবীর প্রায় সবাই কিন্তু এই মেসেজগুলো পড়ে ফেলেছে।

আসলে এই মেজেসগুলো কতটুকু সত্য। ফেসবুক যখন কোন ঘটনা ঘটে বা যে কোন কোম্পানির যখন কোন ঘটনা ঘটেছে বা  তার কোম্পানি যদি কোন যদি কোন প্রবলেম হয় তাদের সার্ভারে যদি কোন প্রবলেম হয় বা তাদের কোনো যদি টেকনিক্যাল প্রবলেম হয় তারা এভাবে মানুষকে পার্সোনালি কখনো মেসেজ করে বলেন না ঠিক আছে।তারা যেটা করে তাদের  অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ এগুলোর মাধ্যমে সাথে সাথে জানিয়ে দেয়, যে আমাদেরকে টেকনিক্যাল প্রবলেম হয়েছে যার ফলে আমরা সমস্যাটি হচ্ছে অথবা তাদের একটা ব্লগ সাইটে পোস্ট করে দেয় যে আমাদের এখন এই টেকনিক্যাল প্রবলেম টা চলতেছে আমরা খুব শীঘ্রই এটা সারিয়ে তোলার চেষ্টা করব। আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন তারা এভাবে জানিয়ে দেয়। কখনোই কাউকে পার্সোনালি মেসেজ করে বলে না যে ভাইয়া আমাদের ফেসবুক এখন সমস্যা চলতেছে আপনার এই মেজেসটা ৪০ জনের কাছে শেয়ার করুন।বাংলাদেশে কিন্তু এই জিনিষটা আজ থেকে হচ্ছে না অনেক আগ থেকে কুসংস্কার এর মত চলতেছে।

অনেকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লিখে বলে এটা যদি ৪০ জনকে sent করেন তাহলে ভালো কোন নিউজ পাবেন আর যদি না করেন তাহলে আপনার ক্ষতি হয়ে যাবে।
এই রকম ইসলামিক ভিবিন্ন রকম  এসএমএস লিখে শেয়ার করার জন্য বলে। এটা কিন্তু একটা কুসংস্কার। এটা কিছু আবোল পুলাপাইন লিখে আর আমরা না বুঝে বোকার মত শেয়ার করি।আরে এটা তো আপনার মত কেউ না কেউ লিখে শেয়ার করতেছে তার মুখের কথায় কি আপনার ভালো বা খারাপ কিছু হয়ে যাবে।নিজের ব্রেনে কি এটা ডুকে না।এই গুলো আসলে সম্পূর্ণ গুজব আপনি যদি Technically চিন্তা করেন বা মাথা কাটিয়ে যদি চিন্তা করেন তাহলে বুঝে যাবেন ফেসবুক কেন আপনাকে Personally message পাঠাবে। এটা কি আপনার ফেসবুক লাইক কমেন্ট ব্লক হলে যে আমরা বলি কিছু স্টিকার কমেন্ট লাগবে এটার মত ভাবতেছেন।এটা জাস্ট মানুষকে বোকা বানানোর জন্য কিছু চক্র এই সমস্ত মেজেজ বানায়।আমরা ইদানিং অনেক ধর্মভীরু হয়ে গেছে যার ফলে কেউ ইসলামিক কিছু দিয়ে শেয়ার করার জন্য বললে আমরা শেয়ার করা শুরু করি শোয়াব কামানোর জন্য।এগুলো আসলে শোয়াব কামানো যায় না।

আপনাকে নেকি কামাতে হলে মসজিদে যেতে হবে নামাজ পড়তে হবে।এবাদত  বন্দেগী করতে হবে।ফেসবুক থেকে এই রকম নেকি কামানো যায় না।এই গুলো সম্পুর্ণ গুজব।

এই গুলো দেখতে দেখতে আসলে বিরক্ত হয়ে গেছি তাই ভাবলাম একটা পোস্ট লিখি।আসা করি আপনারা এই জিনিষটা কখনো বিশ্বাস করবেন না।

তো এই ছিলো আজকের মত পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন আর শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।

                               
Previous Post Next Post