আমাদের জিবনের বড় শিক্ষক কে আসুন জেনে নেই

আমাদের জিবনের বড় শিক্ষক কে আসুন জেনে নেই 

জিবনের বড় শিক্ষক কে
বন্ধুরা কথাই বলে, কষ্ট এই পৃথিবীর সব থেকে বড় শিক্ষক। যতক্ষণ কোন ব্যক্তি কষ্ট না পাবে ততক্ষণ সে কোন কিছুই শিখবে না। আরে কষ্টের কারণে সে জীবনে বড় কিছু করে দেখাবে। 

তো চলুন আপনাদের একটি গল্পের মাধ্যমে প্রকৃতির এই বিষয়টিকে বোঝানোর চেষ্টা করি।কস্ট হল আমাদের সব থেকে বড় শিক্ষক।


একবার একটি টিচার একটি পাখির ডিম নিয়ে আসলেন। যে ডিম থেকে পাখির বাচ্চা হবে। এরপর তিনি ডিমটিকে একটা টেবিলের ওপরে রাখলেন। তারপর স্টুডেন্টদের বললেন কিছুক্ষণের মধ্যে এই ডিম থেকে একটি পাখির বাচ্চা বের হবে। স্টুডেন্ট গুলি অনেক ছোট ছিল তাই তারা অনেক বেশি উৎসাহের সঙ্গে ডিমটিকে খুব মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগল। টিচার বলল খুব ভালো করে সবাই দেখো, কিভাবে ডিম থেকে একটি পাখির জন্ম হয়। প্রতিটি স্টুডেন্ট খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছিল। টিচারের কোন একটি কাজের কারণে রুম থেকে তিনি বেরিয়ে গেলেন। এরপর স্টুডেন্টরা দেখল ডিমটি অল্প একটু ফেটে গেল। আর পাখির ছানাদের ডানা দুটো বাইরে বেরিয়ে আসলো। আর পাখির ছানাটি তখন খুব ছটফট করতে লাগলো। শরিলের বাকি অংশটি বাইরে বের করার জন্য। এটি দেখে স্টুডেন্ট গুলো খুব মায়া হল। তারা ভাবল পাখিটির অনেক কষ্ট হচ্ছে। আর এরপর একটি স্টুডেন্ট ওই ডিমের উপরে হাল্কা আঘাত করে ডিম থেকে ভেঙে দিল। যাতে করে পাখির ছানা টের কোন কষ্ট না হয়। 

এটি দেখে সবাই হাততালি দিতে লাগলো, যে পাখির ছানাটি এখন বাইরে বেরিয়ে এসেছে। এর কিছুক্ষন পর পাখির ছানা টি টেবিলের ওপরে ছটফট করল। আর কিছুক্ষণ পর ছানাটি টি টেবিল থেকে নিচে পড়ে যায়। এবং পাখি ছানা টি মারা যায়। এরপরে টিচার রুমে আসে আর তাদের জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে? তখন একটি স্টুডেন্ট বলল স্যার ডিমের ভেতর থেকে প্রথমে পাখির ডানা বাইরে আসে। অনেক ছটফট করতে থাকে কিছুতেই বার হতে পারছিল না। তাই আমরা ডিমটিকে ভেঙে দিয়েছিলাম। কিন্তু পাখির ছানা টি হয়তো দুর্বল ছিল। তাই ছানাটি মারা গেছে। এরপর শিক্ষক বলল পাখির বাচ্চা টিকে তোমরাই মেরে ফেলেছো। প্রতিটি স্টুডেন্ট অবাক হয়ে ভাবতে লাগলো আমরা কি করে মেরে ফেললাম। এরপর টিচার বলল যখন পাখির ডানা বাইরে বেরিয়ে আসে এরপর প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে পাখির ডানার সাহায্যে ডিমটিতে ফাটতে দিতে তাহলে পাখিটির ডানা এতটা শক্ত হয়ে যেতে যে সে উড়তে পারতো।কিন্তু তোমরা ডিমটিতে ভেঙ্গে দিয়েছো তাই পাখিটির ডানা শক্ত হতে পারে নি।তার কারনে পাখটি উড়তে না পেরে মারা গেছে।আর এই সব কিছু হয়েছে তোমাদের জন্য।তোমাদের জন্যই আজ পাখির বাচ্চাটি মারা গেলো।এটি শুনে প্রতিটি শিশু অনেক দুঃখ্যি হয়ে পড়লো।এর পর শিক্ষক তাদের বললেন একটি কথা মনে রেখ কষ্টের প্রয়োজন আছে।যদি তোমরা পাখিটিকে কস্ট সহ্য করতে দিতে তাহলে তার ডানা শক্ত হতো।সে উড়তে পারতো।কিন্তু তোমরা তাকে কস্ট সহ্য করতে দাও নি।

একিভাবে আমাদের জিবনে ও অনেক কস্ট আসে।
কিন্তু আমরা সেই কস্ট থেকে বাচার চেষ্টা করি।পালানোর চেস্টা করি।যখনি আমরা কোন কস্ট থেকে পালিয়ে যাই।তার মানে আমরা নিজেকে শক্ত হতে দিচ্ছি না।কারন কস্ট  সব থেকে বড় শিক্ষক।এই কস্ট আমাদের শিখাবে আমাদের মজবুত করবে।কিন্তু আমরা সেটি করি না যার কারনে আমাদের ডানা ও মজবুত হয় না।অল্পতে ভেঙ্গে যাই।আমরা কোন উচু উড়ান উড়তে পারি না।
তো বন্ধুরা আসা করি আপনারা বুঝতে পারছেন আমি আপনাদের কি বুঝাতে চাইছি।যখনি আনাদের জিবনে কোন কস্ট আসে।আমরা পালিয়ে যাবার চেস্ট করি।আমরা কস্ট থেক্র মুক্তি পেতে চাই।কিন্তু মনে রাখুন যদি আপনি মুক্তি পেতে চান।আপনি পেতে পারেন।কিন্তু আপনি মজবুত হতে পারবেন না।নিজেকে মজবুত করতে হলে আপনার কস্ট হবে শারিরীক ভাবে ও মানসিক ভাবে।

কিন্তু যদি আপনি ঐ সময় ঐ কস্টগুলিকে সহ্য করেন তাহলে আপনি পাবেন একটি নতুন শিক্ষা।তাই বন্ধুরা পরের বার থেকে যদি আপনি কোন কাজ করার সময় যদি আপনার কস্ট হয়, তাহলে মনে রাখবেন আপনি নতুন কিছু শিখছেন। নিজের জিবনে এগিয়ে যাচ্ছেন।কস্ট থেকে পালিয়ে না গিয়ে এর মোকাবেলা করুন এবং সেখান থেকে নিন নতুন শিক্ষা।প্রতিটি কস্ট আমাদের কিছু না কিছু শিখিয়ে যায়। তো বন্ধুরা আজ এই পর্যন্ত।

সবাই ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন। 

                               
Previous Post Next Post