রাতে ঘুম কম হলে বা দেরি করে ঘুমালে কি কি ক্ষতি হবে জেনে নিন


রাতে ঘুম কম হলে বা দেরি করে ঘুমালে কি কি ক্ষতি হবে জেনে নিন

রাতে ঘুম কম হলে বা দেরি করে ঘুমালে কি কি ক্ষতি হবে জেনে নিন


হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?আপনাদের দোয়ায় আমি অনেক ভালো আছি।আজকের টপিক টা খুবি গুরুত্বপূর্ণ তাই সবাই শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

বন্ধুরা আমরা দিন দিন যত বেশি মর্ডান হচ্ছি তত বেশি ঘুমের অনিয়ম বেরেই চলেছে।এই অনিয়মিত আর অসময়ের ঘুম আমাদের সবার প্রথম ক্ষতি করছে আমাদের ব্রেনে। এবং এরপর আমাদের Full Body তে।ব্রেনে ক্ষতি হওয়ার কারণে তো শুধুমাত্র আমাদের কাজ কর্মে ক্ষতি হচ্ছে, অলস হয়ে যাচ্ছি। শুধু তাই নয় এটি আমাদের মেন্টাল ডিপ্রেশনের রোগী ও বানিয়ে দিচ্ছে। আর বডিতে বিভিন্ন রকম রোগের তৈরি করছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে।

মোটকথা একজন নেশাগ্রস্ত মানুষের মত নিজের নিজের লাইফকে অল্প সময়ের মধ্যেই ডেতলাইনে নিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা তৈরি করে ফেলেছি।

 তাই আজ আমি এই  Article এ এই বিষয়টি সম্পূর্ণ শেয়ার করবো।

অনিয়মিত ঘুমের কারনে কি কি ক্ষতি হচ্ছে আমাদের লাইফে success এর ক্ষেত্রে কতটা বাধা দিচ্ছে। কতটুকু ঘুম দরকার কেন দরকার এবং ঘুম আমাদের শরীরে আসলে কি কি উপকার করে থাকে। পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি সচেতন মানুষের জন্য তাই প্লিজ একটু মনোযোগ দিয়ে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

দেখুন রাতে ঠিক টাইমে ঘুম আসা এবং টাইম মতো উঠে যাওয়া এটি শুধুমাত্র আমাদের দৈনিক রুটিন নয় বরং এটি আমাদের ওভার অল ডেইলি ডেভেলাফমেন্ট। আপনি শুনলে অবাক হয়ে যাবেন, আপনার হাইট, আপনার পার্সোনালিটি, আপনার ডেইলি Behave, আপনার সঠিক চিন্তা করা, নিজের সকল কাজের সঠিক একটি ডিসিশন নেওয়া, মানে আপনার ব্রেনের জন্য সবচেয়ে বেশি ইম্পরট্যান্ট জিনিস হল আপনার একটি প্রপার ঘুম।মাঝে মাঝে আমরা যেটি করি ঘুমকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে নেই।অনেক কাজের চাপে  দিনে মাত্র 3 থেকে 4 ঘন্টা ঘুমানো শুরু করে দেই। যেটি আমাদের ফিজিক্যাল হেলথ এবং আমাদের মেন্টাল হেলথ এর জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।যদি একটি মানুষকে এনার্জি নিয়ে সারাদিন পুরো খাটিয়ে কাজ করতে হয়।তাহলে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম আসতেই হবে। সেটি আবার সঠিক টাইমে।

আরো পড়ুন খারাপ সময়ে ৫ টি কথা মনে রাখুন

 এর পর ঘুম নিয়ে আরো একটু সমস্যা হয় আমরা অনেককে দেখি সে শুধুমাত্র 6 থেকে 7 ঘণ্টা ঘুম এসেই সে সারাদিন দুর্দান্ত এনার্জি নিয়ে কাজ করে সকল ক্ষেত্রে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে যেটা হয় 8 থেকে 10 ঘণ্টা ঘুমিয়ে ও সারাদিন ঝিমুনি পায় ব্রেন কাজ করতে চায় না কাজে এনার্জি পাওয়া যায় না।
এর কারণ হলো আমাদের ঘুমের কোয়ালিটি ঠিক নেই। অথবা ঘুমের টাইম ঠিক নেই। বিজ্ঞানীদের মতে একটি মানুষের কোয়ালিটি ঘুমের জন্য কত ঘন্টা ঘুমাতে হবে সেটা ডিপেন্ড করে তার বয়সের এর উপর। আর এই পোস্টে আমি এটিও শেয়ার করবো কোন বয়সে  একটি মানুষের কত ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। যার দ্বারা আপনার মেন্টাল হেলথ ফিজিক্যাল হেলত এবং কাজ করার জন্য সারাদিন এনার্জি টিক থাকা জরুরি।

এর আগে এটি দেখে নেই প্রপার ঘুম না আসলে আমাদের ব্রেনে কি কি ক্ষতি হয়।

 সাধারণত সবাইকে এটি ভেবে থাকে আমি সারা সাপ্তা কাজ করার চাপে একটু কম ঘুমালে ও  সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনে আমার ঘুমের গ্যাপ ফিলাপ করে নিব। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল। এখন মডার্ন রিসার্চ অনুযায়ী আমাদের এই ঘুম আসলে ফিলাপ হয় না। পুরোপুরি ঘুম না আসার কারণে আমাদের বডি ইমিউন সিস্টেম  নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যার কারণে আপনি অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যাবেন। ইমিউন সিস্টেম আপনার বডি তে থাকা ভাইরাস এর সাথে যুদ্ধ করে সেগুলো কে মেরে আপনার বডি কে সুস্থ রাখে। এখন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন শেয়ার করবো আপনাদের সাথে যেটি আপনাদের সারা জীবন মনে রাখতে হবে। সেটি হলো  অল মোস্ট ১৬ টি রিসার্চ থেকে এটি জানা গেছে যে, যে লোক প্রপার টাইমে ৬/৮ ঘন্টার কম ঘুমায় তার 12% চান্স রয়েছে অকাল মৃত্যুর। মানে ১০০ জনের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হতে পারে এই কম ঘুমের কারনে।যদি আপনার এমন হয় আপনি কোন কাজে Focus করতে চাইলে ও করতে পারছেন না ছোট ছোট বিষয়ে প্রচন্ড পরিমান রেগে যাচ্ছেন।তাহলে এটি আপনার কম ঘুম বা অসময়ে ঘুমের জন্য হচ্ছে।এটির কারনে আপনি ডিপ্রেশনে ভুগতে পারেন।কম ঘুমের কারনে বা অসময়ে ঘুমের কারনে ব্রেনে প্রচুর পরিমান প্রভাব ফেলে।আপনার মাইন্ডে কোন কাজ করতে চাইবে না।তাই আপনি কোন কাজের জন্য প্রপার ডিসিশন নিতে পারবেন না।ঘুম কম হবার কারনে আপনি কোন জায়গায় বসলে বা বাসে উঠলে হঠাৎ ঘুমিয়ে যাবেন বুঝতেই পারবেন না।এটিকে বলা হয় Micro sleep. এটি যদি সঠিক জায়গায় হয় সমস্যা নেই কিন্তু যদি ড্রাইভিং করার সময় হয় বা লকাল বাসে হয় তাহলে কি রকম দুর্গটনা হতে পারে একটু ভাবুন তো।আমাদের ব্রেন লজিক বুঝে না যখন যেটার প্রয়োজন তখন সেটা এনে দেয়।ঠিক যখন ঘুমের প্রয়োজন তখন ঘুম এনে দেয়।

তো চলুন এখন জানা যাক কোন বয়সে কতটুকু ঘুমের প্রয়োজন। কতটুকু ঘুমালে পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম হবে।

নতুন যে বাচ্চাটি জন্ম নিয়েছে মানে ৩ মাসের কম বয়সের বেবি প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৭ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।এই সময়ে বাচ্চাদের গ্রোথ সব চেয়ে বেশি হয় তাই তাদের ঘুমের প্রয়োজন ও বেশি।
৪ থেকে ১১ মাসের বাচ্চাদের ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।
১ থেকে ২ বছরের বাচ্চাদের ১১ থেকে ১৪ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন প্রতদিন।
৩ থেকে ৫ বছরের বাচ্চাদের ১০ থেকে ১৩ ঘন্টা ঘুমেত প্রয়োজন।
৬ থেকে ১৩ বছরের ছেলে মেয়েদের ৯ থেকে ১১ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন প্রতিদিন।
এবং ১৪ থেকে ১৭ বছরের ছেলে মেয়েদের ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।
১৮ থেকে ২৫ বছরের  মানে Young Adult ছেলে মেয়েদের  ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন প্রতিদিন।
পাশাপাশি ২৬ থেকে ৬৪ বছরের ছেলে মেয়েদের ৭ থেকে ৯ ঘন্টা প্রয়োজন।
আর ৬৫ বছরের উপরেত লোকদের ৫/৬ ঘন্টা ঘুমালে তারা তাদেরকে  Recovery করে নিতে পারে।

এখানে ঘুমের যে ডাটা দেখানো হয়েছে এটা Human একটি Body জন্য।কিন্তু আপনি যদি ব্রেনে বেশি পরিশ্রমি কাজ করে থাকেন। তাহলে আপনার Body Condition বুঝে আরো একটু প্রয়োজন হতে পারে।
কখনো যদি হয়ে ও যায় কোন জরুরি কাজের জন্য রাতে পুরুপুরি ঘুম আসে নি।তাহলে আপনি দিনের বেলা ঘুমাতে পারেন।আর দিনের বেলা মাত্র ৩০/৪০ মিনিট ঘুমাতে হবে এর বেশি নয়।কেন সেটি আমি একটু পরে বলছি।

প্রতিটি মানুষের ঘুমের নিয়ম ৪ টি stage এ হয়ে থাকে।

Stage 1 and Stage 2 এ দুটিতে যে পরিমান ঘুম হয় একে আমরা Light sleep বলতে পারি।যেটিকে আমরা কাচা ঘুম বলে থাকি।এর পর আরো একটু বেশি ঘুম হয়ে গেলে সেটি হয়ে যায় Stage 3 এর ঘুম মানে deep sleep.আর Finally stage মানে Stage  4 এ আপনি সব চেয়ে বেশি গভির ঘুমে তাকেন।আর এই stage 4 এ আমরা সপ্ন ও দেখে থাকি।stage 1 এ আমরা একটু ঘুমে থাকি পাশাপাশি ব্রেন ও সচল থাকে আর এটি ব্রেনে তেমন কোন কাজ করে না।বরং সে সময় ঘুন থেকে উঠে গেলে অনেক খারাপ লাগে।স্টেজ ২ তে আমরা POWER nep নিয়ে থাকি এই স্টেজের ঘুম হলে আমাদের ব্রেন ডাটা প্রসেজ করে থাকে।বিরক্তিকর ডাটাগুলিকে যে গুলি আমাদের দরকার নেই সেগুলিকে ফেলে দেয় এবং আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা গুলিকে আপনার ব্রেনে স্টোর করে দেয়।দেখবেন আমরা দুপুরে অথবা বিকালে একটু ঘুম আসলেই সেটা অফিসে হোক বা অন্য কোন জায়গায় হোক তখন ঘুম থেকে উঠার পর শরির অনেক Refresh লাগে।ব্রেন অনেক ভালো করে কাজ করে। আপনার এই ঘুমটি ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের বেশি হওয়া যাবে না।কারন ঘুম বেশি হলে আপনি Stage 3 তে চলে যাবেন।তখন যেটি হবে আপনি সারাদিন অলস অনুভব করবেন।ক্লান্তি অনুভব করবেন।দিরভর কাজ করতে চাইবেন না।মানে শরির অবস এর মত হয়ে যাবে কিছুই করতে ভালো লাগবে না।

আপনার প্রপার ঘুমের জন্য একটা টাইম ঠিক করে নিবেন রাত্রে এবং দিনের মিলিয়ে এভাবে কিছুদিন হতে থাকলে আপনার ব্রেনে একটি Clock সেট হয়ে যাবে।
আপনার ব্রেন ঠিক টাইম মত ঘুমিয়ে যাবে এং ঠিক টাইম মত জেগে উঠবে।ঠিক আমাদের বাবা মা যে রকম বছরের পর বছর উঠে যাচ্ছেন কোন এলেরাম চারাই।
ঘুমানো ২ ঘন্টা আগে থেকে সকল প্রকার খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিতে হবে।
১৮ বছরের নিচে যারা তাদের অনেক ঘুম জরুরি নিজের হাইট বারানোর জন্য এবং সকল স্টুডেন্ট এর পড়াশুনার জন্য।
তো আজকের টপিক এই পর্যন্ত আসা করি আপনাদের উপকারে আসবেন।
Tnx For Reading.
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।আর Blognet24 এর সাথেই থাকুন।

                               
Previous Post Next Post