বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ভাল করার ১০ টি কৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ভাল করার ১০ টি কৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ভাল করার ১০ টি কৌশল

১.কাউকে নকল কোরো না, বরং নিজের স্বকীয়তা অর্জন করো। কে কোথায় কোচিং করছে, কোন বই পড়ছে, কার কাছে পড়ছে, আমাকেও সেখানেই পড়তে হবে—এসব ভাবনা তোমাকে আরও পিছিয়ে দেবে।

 ২.শুধু মুখস্থ পড়া নয়। কোনো বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা এবং প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জন করা উচিত।

৩.সারা দিনের জন্য একটা রুটিন বানিয়ে ফেলো। রুটিন শুধু তৈরি করলেই হবে না, সেটা মেনে চলতেও হবে। দু-এক দিন মানলাম, তারপর আর মানলাম না, এমনটা যেন না হয়।

 ৪.সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্য স্থির করো। অনেকে একসঙ্গে বেশ কয়েকটা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে কোনোটার প্রস্তুতিই ভালোভাবে নিতে পারে না। এর চেয়ে একটা বিষয়ে লক্ষ্য স্থির করে সেটার ওপর জোর দেওয়াই ভালো।

 ৫.বাংলার জন্য পাঠ্যপুস্তকের বিষয়গুলো খুব গভীরভাবে পড়তে হবে। পাশাপাশি ব্যাকরণের পাঠ খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজির ওপরও জোর দিতে হবে। ইংরেজিতে নম্বর কম পেলে ভালো বিষয় পাওয়া কঠিন হয়।

 ৬.কোনো নির্দিষ্ট বিষয় যদি খুব জটিল মনে হয়, তবে তা ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা না পড়াই ভালো। কারণ এতে ক্লান্তি আর হতাশা তোমাকে পেয়ে বসতে পারে। কঠিন বিষয়টির জন্য রুটিনের ছোট ছোট অংশ বরাদ্দ রাখতে পারো। যেমন সকালে ২০ মিনিট, বিকেলে ২০ মিনিট, আবার রাতে ঘুমানোর আগে ২০ মিনিট...

 ৭.সাম্প্রতিক বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে জানতে হবে। সাম্প্রতিক বিষয়ের সঙ্গে মিলিয়ে অতীতটাও জানা জরুরি। পত্রিকায় শুধু খেলার পাতা আর বিনোদন পাতায় সীমাবদ্ধ না থেকে সম্পাদকীয়, আন্তর্জাতিক, অর্থনীতিসহ সব বিষয়ই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

 ৮.পরীক্ষায় কিছু প্রশ্ন থাকে, যেগুলো খুবই বিভ্রান্তিমূলক। মনে রাখবে, এই প্রশ্নগুলো করাই হয় পরীক্ষার্থীর ‘এক্সাম স্ট্র্যাটেজি’ যাচাই করার জন্য। কেউ কেউ এই প্রশ্নগুলোতে এত বেশি বিভ্রান্ত হয়ে যায় যে বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তরও ভুল হয়ে যায়। কিছু উত্তর তোমার অজানা থাকতে পারে, এটা মেনে নিয়েই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করা উচিত।

 ৯.ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করার একটা গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো জটিল বিষয়গুলো সহজে মনে রাখার উপায় বের করে নেওয়া। এতে করে সময় বাঁচবে, আবার আত্মবিশ্বাসের জায়গাটাও সুদৃঢ় হবে।

১০.সুস্থ থাকতে চেষ্টা করো। পড়ালেখার চাপে অসুস্থ হয়ে পড়লে সেই ঘাটতি অপূরণীয় থেকে যেতে পারে। সম্ভব হলে নিয়মিত খাবারের তালিকার সঙ্গে ফল, দুধ, ডিম যোগ করো।
                               
Previous Post Next Post