চাকরি না ব্যবসা |কোনটি ভালো জেনে নিন_what is the Best

  What Is The Best Job or Business


আসছালামু আলাইকুম? হেলো বন্ধুরা Blognet24 এর সবাইককে অভিনন্দন?
বন্ধুরা চাকরি করবো নাকি ব্যবসা?আমার মনে হয় এই প্রশ্নটা সবার মনে কখনো না কখনো আসে।এবং আমাদের জিবনে বেচে থাকার জন্য দুটি থেকে যে কোন একটিকে বেচে নিতে নয়,বাকি রইলো প্রবাস এটার বিষয়ে আগে লেখছি তাই আজ ,
ব্যবসা করবেন নাকি চাকরি এই বিষয়ে বলবো।
আজ আমি বলবো না আপনার কি করা উচিত প্রতিটা মানুষ আলাদা আলাদা,
সবার চাহিদা আলাদা আলদা।জিবনন আপনার তাই প্রচন্দটি আপনারই।কিন্তু আজ আমি এই দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো,যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে বুঝতে পারেন আপনার কি করা উচিত।
বন্ধুরা চাকরি করা কিছু মানুষের ব্রেনে আগে থেকে ফিক্স থাকে।পড়াশুনা করবো ডিগ্রি অর্জন করবো এবং এর পর জব করবো।তো চলুন দেখি চাকরিতে কি কি সুবিদা আছে ব্যবসারর থেকে।
সেটি প্রথমে চেষ্টা করি।

১.চাকরিতে আপনার অনেকে বেশি scoure হয় ব্যবসা থেকে।
মাস শেষে আপনার বেতন আপনার ক্রেডিট কার্ডে বা ব্যাংকে সরাসরি চলে আসবে।
এটি দেখে আপনি অনেক হেপি হয়ে যাবেন।
কিন্তু ব্যবসাতে এমনটি হয় না,আপনি ভেবেছেন এই তারিখে পেমেন্ট পাবেন,
কিছ সময় পর জানতে পারলে আপনার পেমেন্ট আটকে গেছে।বা যে পার্টি কার থেকে কাছ টাকা পাবেন সে আজ দিতে পারবেন না।
আরো অনেক কারন থাকতে পারে।
এর পর আপনি যতই ট্রাই করেন না কেন কোন লাভ হবে না।

২.চাকরিতে আপনার ইনকাম নির্ধারিত থাকে যার ফলে আপনি জানতে পারবেন পরবর্তী মাসে কত টাকা পাবেন।তাই আপনি আপনার খরচ ও Sacing ভালো ভাবে প্লান করে করতে পারবেন।
কিন্তু ব্যবসাতে আপনার ইনকাম এমন ও হয় কোন ও উপরর কখনো নিচে।কোন কিছু আগে থেকে বলা যাবে না।আপনি জানতে পারবেন না পরবর্তী মাসে কত টাকা পাবেন।টাকা আদো আসবে কি না।
যার জন্য আপনাএ খরচ আর Saving অনেক টা কঠিন হয়ে পরে।

৩.চাকরিতে আপনাকে কাজ অনেক কম করতে হয়।
মোটামোটি বেশিরভাগ চাকরির কেত্রে সকাল ৯ টায় অফিস যাওয়া আর সন্ধার ৫ টার আগে বাড়িতে আসতে পারবেন।
এর মধ্যে আপনার কাজ কম্পিলিট হলো কি না ১০ জনের ৮ জনের কোন কিছু যায় আসে না।
ব্যবসাতে এমনটি হয় না
সন্ধা হোক রাত হোক আপনি কাজ করতে গিয়ে বুঝতে পারবেন না কখন সকাল হয়ে গেছে।
আমরা অনেকে মনে করি ব্যবসাতে অনেক কম পরিশ্রম করতে হয় কিন্তু এটি একদম না।
ব্যবসায় চাকরির থেকে তিনগুন বেশি পরিশ্রম করতে হয়।
চাকরির কেত্রে কি হয় হলে হলো না হলে না হলো কাল করবো,
আমি না করলে অন্যকেউ করবে।
কিন্তু ব্যবসা ঐ অন্যকেউটি কেউ নয়,
আপনাকে সব কিছু করতে হবে।
৪. ব্যবসাতে আপনার অর্জিত সম্পদ বা টাকা হারিয়ে যাওয়ার রিক্স থাকে।
চাকরির কেত্রে এই রকম কোন রিক্স নেই।
যদি কোন প্রাইভেট চাকরি করেন তাহলে বেশি কিছু আপনার চাকরি চলে যেতে পারে।
এর ফলে আপনাকে হয়তো কিছুদিন ঘরে বসে থাকতে হতে হবে।
কিন্তু ব্যবসা চলে গেলে দামি গাড়ি থেকে সাইকেলে আসতে বেশি সময় লাগবে না।
আমি আপনাকে ভয় দেখাচ্ছি না এটি হলো ব্যবসার নিয়ম।

৫. চাকরির কেত্রে আপনার পারিবারিক জিবন ও চাকরি মধ্যে একটা ব্যালেন্স থাকে।
আপনি আপনার পরিবারকে সময় দিতে পারবেন।
আপনার পরিবার একটি নির্দিষ্ট টাইম পার হয়ে গেলে আপনার অপেক্ষা করবে আপনি কখন আসবেন।
এবং ১০ বারের মধ্যে আপনি ৯ বার সঠিক সময়ে বাড়ি পৌছাবেন।
কিন্তু ব্যবসার কেত্রে নির্দিষ্ট কোন সময় থাকে না কখন বাড়ি ফিরবেন।
আপনার জিবন তো অনেক সুন্দর কিন্তু পারসনাল কাজের জন্য কোন সময় থাকবে না।
দামি গাড়িতো থাকবে চালানোর সময় থাকবে না।
বাড়ি তো অনেক বড় হববে কিন্তু সেখানে থাকার সময় থাকবে না।
বন্ধুরা এই ছিলো চাকরি সুবিদা ব্যবসার থেকে।

এইবার জানবো ব্যবসার সুবিদা কি কি।

১.ব্যবসার টাকার কোনো লিমিট থাকতে না,
তাই যদি ব্যবসা একবার হয়ে যায় Rode পতি থেকে কোটিপতি হতে বেশি সময় লাগবে না।
অন্যদিকে চাকরি আপনার ইনকাম লিমিটেড থাকে,
মাস শেষে যা পাবেন সেটি নিয়ে আপনাকে হেফি থাকতে হবে।

২.আপনার পরিশ্রমঈ আপনার সফলতা,
আপনি চাকরির কেত্রে কি করে সকাল ১০ থেকে গাধার মত কাজ করতে শুরু করে করেন।
কার জন্য কাজ করেন?
আপনি কাজ করেন এই সুবিধা ভুগ করে অন্যজন।
মানে বাগান আপনার ফল অন্যজনের।
জমিতে চাষ আপনি করবেন এর ফসল নিবে অন্যজন।
চাকরিতে এটি হয়।
কিন্তু ব্যবসাতে ফল আপনাকে লাগতে হবে এবং এর ফল আপনি খাবেন।
যত বেশি গাছ লাগাবেন তত বেশি ফল আপনি পাবেন।
আপনার পরিশ্রম আপনার সফলতা।

৩. আপনার বস আপনি নিজে, যখন যা চাইবেন তাই করতে পারবেন কিন্তু চাকরিতে এমন টা নয় Bonus চাইতে হলে বসের কাছে চাইতে হবে ছুটি চাইলে ও বসের কাছ থেকে নিতে নিবে।
চাকরিতে কোন ভুল করে ফেললে আপনাকে এমন ভাবে কথা শুনাবে,
যেনো আপনি তার কোঠি টাকা লস করে দিয়েছেন।
এই ঘটিনা যত দিন চাকরি করবেন ততদিন ঘটতেই থাকবে।
কারন চাকরিতে আপনি যতই উপরে উঠেন না কেন কেউ না কেউ আপনার বস থাকবেই।
কিন্তু ব্যবসাতে এই অত্যাচারী ব্যক্তিটি আপনি নিজেই হতে পারেন।
একটু ভেবে দেখুন তো,
আপনার উপরে কোন বস নেই,
আপনাকে কেউ কিছু বলবে না।
কেউ বকবে ও না।আপনি নিজেই আপনার ইচ্ছার মালিক।
চাকরিতে আপনার সঠিক টাইমে যেতে হবে
ব্যবসাতে আপনার যখন ঘুম শেষ হবে তখনই আপনার সকাল।
যেতে ইচ্ছা করে না, না গেলে পারেন কোন যায়গাউ যেতে ইচ্ছা হয় যান,
নতুন কিছু ট্রাই করতে ইচ্ছা হয় করুন।
কিন্তু চাকরিতে আমাদের এই সুবিধা গুলি পাওয়া যায় না।

৫. আত্নসম্মান যতন আপনার নিজের একটি ব্যবসা থাকবে তখন আপনার নিজের একটি পরচয় থাকবে।
যা আপনার চাকরি করা লোকের থেকে আলাদা করবে।
এই দুটি introduction শুনুন।

Hello I am Mubib Working Engineering  Company.

Hi i am Munna I Own this company.

এবার আপনি বলুন এই দুটির কোনটি Introduction দিতে আপনি প্রচন্দ করবেন।
তো বন্ধুরা এই ছিলো সুবিদা ব্যবসার চাকরি থেকে।
মোটামোটি ব্যবসা ও চাকরির সুবিদা ও অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
এইবার আপনি ঠিক করুন আপনি কি করবেন।
চাকরি নাকি ব্যবসা।
আপনার Choice অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
আল্লাহ হাফিজ।

                               
Previous Post Next Post