ভারতে করোনার অবস্তা | ভারতে ২৪ ঘন্টায় ৩৫ জনের মৃত্যু আক্রান্ত ৫০০০

ভারতে করোনার অবস্তা | ভারতে ২৪ ঘন্টায় ৩৫ জনের মৃত্যু আক্রান্ত ৫০০০  


★বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস মহামারীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ভারতে মোট ‍মৃতের সংখ্যা ১৬০ জনে দাঁড়িয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী দেশটিতে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজারের কোঠা অতিক্রম করে পাঁচ হাজার ১১৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
★এক দিনেই দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যায় সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন ঘটেছে।
★করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ রুখতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৪ মার্চ দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন, যা আগামী ১৪ এপ্রিল শেষ হবে। কিন্তু ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকায় বেশ কয়েকটি রাজ্যের অনুরোধে সরকার লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে বলে কর্মকর্তারা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন।
★বিজেপি-শাসিত উত্তর প্রদেশসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর পক্ষে ইঙ্গিত দিয়েছে বলে বলছে এনডিটিভি। তেলেঙ্গানা এক জরিপ সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে লকডাউন ৩ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর পক্ষে বলেছে।
★তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে টি রামা রাও মঙ্গলবার এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ওই জরিপে রাজ্যটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ১ জুন সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছবে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। 

★আসাম ও ছত্তিশগড়ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চলাকালে তাদের রাজ্য সীমান্ত বন্ধ রাখতে চায় বলে জানিয়েছে। 
★মঙ্গলবার কয়েকজন মন্ত্রী নিজেরা আলোচনা করার পর ভারতজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আরও চার সপ্তাহ বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছেন। পাশাপাশি ধর্মীয় জমায়েত ও সব ধরনের সভার ওপরও নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
★ভারতের মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে, এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০১৮ জন। এরপর যথাক্রমে তামিল নাডুতে ৬৯০, দিল্লিতে ৫৭৬, তেলেঙ্গানায় ৩৬৪ এবং কেরালায় ৩৩৬ জন।
★ভারতে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমন্বয়কের ভূমিকা পালনকারী সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি সামজিক দূরত্ব বজায় রীতি মেনে চললেও তাকে যদি কোয়ারেন্টিন করা না হয়, তাহলে ৩০ দিনে তার মাধ্যমে আরও ৪০৬ জন আক্রান্ত হতে পারেন।
★দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতজুড়ে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের ৭০ শতাংশের রোগ লক্ষণ মাঝারি থেকে মৃদু এবং তাদের কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া দরকার হবে না।

                               
Previous Post Next Post