জিবনে কিছু করতে হলে কি শিক্ষিত হতে হবে? জেনে নিন


জিবনে কিছু করতে হলে কি শিক্ষিত হতে হবে? জেনে নিন


আপনি কি যারা সারাদিন পড়ালেখা নিয় ব্যস্ত তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য।


হেলো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?আসা করি সবাই অনেক ভালো আছেন।আপনাদের দোয়ায় আমি অনেক ভালো আছি।আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।সবাই সম্পুর্ণ পোস্টটি ভালো করে পড়বেন।
আপনি কি মন করেন লাইফে বড় কিছু করতে হলে বড় ডিগ্রির প্রয়োজন আপনাকে High Educated হতে হবে।
তাহলে এই পোস্টটি পড়তে থাকুন।
একটি গল্পের মাধ্যমে খুব সহজে আজকের বিষয়টা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

আজ আমি আপনাদের দুজন যমজ ভাইয়ের গল্প বলবো একজনের নাম পড়াকু আরেক জনের নাম লড়াকু।পড়াকু আর লড়াকু দুজন একি ক্লাসে একি স্কুলে পড়ে।
তাদের মা বাবার mentally কিছুটা এ রকম লেখাপড়া করে যে সে হয় নবাব খেলাদুলা করে যে সে হয় খারাপ।
ছোট বেলা থেকে তাদের বাবা পড়াকু আর লড়াকুকে এই কথা বার বার বলে যেতো। মা বাবার এই কথা পড়াকু সুত্যি মেনে নেয় সেই মত পড়াকু খেলা দোলা বাধ দিয়ে সারা দিন পড়ালেখা শুরু করে দেয়।মানে লেখা পড়া করাটা পড়াকুর কাছে নেশার মত হয়ে দাঁড়ায়।

অন্যদিকে লড়াকুকে তার মা বাবা যখন এই কথাটা বলতো   পড়ালেখা করে যে সে হয় নবাব আর লেখা দোলা করে যে হয় খারাপ। তখন লড়াকু তার মা বাবাকে প্রশ্ন করতো কেন?তাহলে মাশরাফির মানুষ এত ভক্ত কেন?
এই কথার উত্তর তাদের মা বাবার কাছে ছিলো না।
ফলে লড়াকু মা বাবার এই Dialog টা কে কোন দিন seriously নিতো না।লড়াকু ও পড়তো কিন্তু সেটুকু পড়তু যে টুকো পড়লে শুধু এক্সামে ফাস করা যায়।
স্কুলে লড়াকু একটা ক্লাস করলে বাকি একটা ক্লাস বাহিরে গিয়ে খেলা দোলা বা অন্য কিছু করে বেরাতো।
অন্যদিকে পড়াকু সেই যে ক্লাস শুরু হবার সময় বসতো আর ক্লাস শেষ হবার পর বের হতো।

ফলে স্বাভাবিক পড়াকু পরীক্ষায় ফাষ্ট হতো আর লড়াকু লাস্ট হতো।
যার ফলে পড়াকু সব সময় মা বাবার প্রশংসা পেতো আর লড়াকু বকা আর পিটোনি খেতো।
লড়াকুর মা যখন লড়াকুকে বলতো তর পড়াগুলো একটু মুখস্ত করলে কি হয় রে।তখন লড়াকু মাকে বলতো মুখস্ত করে কি করবো সব তো Google রয়েছে।একটু Search করলেই পাওয়া যায়।ফালতু ফালতু মাথার মধ্যে বুঝা বারিয়ে কি লাভ।তখন লড়াকুর মা লড়াকুকে বলতো শুনো Google থাকলে কিন্তু তুমি চাকরি পাবে না।
লড়াকু বলতো অরকম চাকরিতে আমার দরকার নেই।
আমি মানুষ হয়ে বাচতে চাই রোবট হয়ে নয়।

টাকা কামানোর জন্য কি চাকরি ছাড়া আর কোন উপায় নেই নাকি।এই ভাবে টেনে টুনে কোন রকম Higer secondari পাশ করার পর লড়াকু পড়া লেখা ছেরে দিলো।
Enter এর পর থেকে লড়াকুর মাথায় Photographi করার নেশা শুরু হলো।

অন্যদিকে পড়াকু তার পড়া চালিয়ে যেতে লাগলো। আস্তে আস্তে পড়াকু সমস্য ডিগ্রি হাসিল করতে লাগলো।
এক পর্যায়ে তার পড়ালেখা শেষ হলো।কিন্তু সমস্যাটা হলো সারাদিন বই নিয়ে ব্যস্ত থাকার ফলে পড়াকুর ব্যবহারিক বুদ্ধি হয়ে গিয়েছিলো Zeroo আর Personally Devolapment বলতে কিছুই হয় নি পড়াকুর।অচেনা কোন লোকের সাথে ঠিকভাবে কথা বলতেও পারতো না পড়াকু।পড়ে ডিগ্রি প্রচুর থাকলে ও পড়াকুকে বেকার হয়ে ঘরে বসে থাকতে হলো।এবার শেষ পর্যন্ত এত পড়ালেখা করে এত ডিগ্রি নিয়ে পড়াকুকে পিয়ন এর চাকরিতে ডুকতে হলো যে চাকরির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা ছিলো মাধ্যমিক পাশ।মানে মাধ্যমিক এর পর ৮/১০ বছর যা পড়াকু যা পড়েছিলো তা আর কোন কাজে লাগবে না পড়াকুর। মানে নিজের লাইফের যে Best ৮/১০ বছর ভালো নেশা পড়ালেখায় কাঠলো তা পুরাটাই মাঠি হয়ে গেলো।

অন্যদিকে লড়াকু যখন পড়ালেখা ছেরে Photographi নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেছিলো তখন মা বাবার লড়াকুকে নিয়ে আরো চিন্তা বেরে গেলো। প্রতি মূহুর্তে মা বাবার কাছে লড়াকুর কথা শুনতে হতো। এ রকম সময়ে একদিন পড়াকু অর ভাই লড়াকুকে ডেকে জিজ্ঞাস করলো ভাই তুই  Photographi করে কি করবো।তখন লড়াকু বললো কি করবো জানি না তবে একটা কিছু করবো।
তখন পড়াকু বললো আরে নিজের কিছু করতে হলে শুরুতে অনেক টাকা লাগে তকে এত টাকা কে দিবে।
তখন লড়াকু বললো কেন ছোট করে শুরু করবো আস্তে আস্তে সেখান থেকে টাকা জমিয়ে বড় করবো।
তো পড়াকু বললো অরকম মনে হয়।মানে পড়াকুর মাথায় এটা Strong ভাবে এটা গেতে গেছিলো যে জিবনে বড় কিছু করতে হলে একটাই রাস্তা পড়ালেখা করতে হবে।
এছারা আর কোন রাস্তা নেই।নিজের এই বিশ্বাসের উপর  ডিফেন্স করে পড়াকু পড়ালেখা করতো কখনো এর মধ্যে Question মার্ক লাগাতো না।
লড়াকুর মানসিকতা ছিলো অন্য রকম। লড়াকু মনে করতো এই পৃথিবীতে যে কোন জায়গায় পৌছানোর একটা না অসংখ্য রাস্তা থাকে।তাই লাইফে বড় কিছু করার একটাই রাস্তা না শুধু লেখা পড়া করা এটা ভুল ধারনা আরো অসংখ্য রাস্তা আছে টাকা রোজকার করে বড় কিছু করার।তো পড়াকু লাখ লাখ টাকা খরচ করে শেষ পর্যন্ত পিয়নের চাকরি ১০/১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি যোগাতে সক্ষম  হলো।

অন্যদিকে লড়াকুকে সবাই বার বার নিষেধ করা সত্যে ও নিজের উপর বিশ্বাস রেখে নিজের বাঝে নেশা Photographi উপর stock photographi image মাঠ নামে নিজের একটা Startup শুরু  করলো।
যেহেতু লড়াকু সব সময় বাহিরে সময় কাঠাতো তাই লড়াকুর বুদ্ধি হয়েছিলো অসাধারন। পড়াকু যখন নিজের মাথায় রোবট এত মত information ফিট করছিল তখন লড়াকু লাইফকে জানছিলো।লড়াকুর এর বুদ্ধির কারনে তার Stock photographi startup থেকে multinational   company লেভেলে চলে গেলো। ফলে Enter pass লড়াকুর monthly ইনকাম দাড়ালো চার পাচঁটা বেচেলার ডিগ্রী পাশ করা পড়াকুর থেকে ১০ গুণ বেশি।
এবার মা বাবা পড়াকুকে বকাবকি শুরু করলো।আর লড়াকুকে দেখে পড়াকুকে দেখে কিছু শিখতে বলতে শুরু করলো।মানে এখন মা বাবার কাছে লড়াকু হয়ে গেলো ভালো আর পড়াকু হয়েগেলো বোকা।

তো পড়াকু আর লড়াকু কাহিনী আমাদের এটা শিখায় জরুরি না আমারা যেটা ভাবি আসলে ভালো বা যেই জিনিষটা আমরা খারাপ বলে ভাবি তা আসলেই খারাপ।
আসল জিনিষটা হলো সমস্ত বিশ্বাস বা দ্বারনাকে সঠিক বলে মেনে নেওয়ার আগে তার পিচনে একটা Quation মার্ক লাগানো প্রশ্ন করে দেখা আসলে ধারনা কি সত্যি না মিথ্যা।

শিক্ষা মানে কিছু তথ্য সংগ্রহ করা নয়, শিক্ষা মানে কিভাবে চিন্তাভাবনা করতে হয় তার প্রশিক্ষন।


আজকের এই টপিকটি আমি sandeep maheshwari সারের Education To Addition Video থেকে শিখেছি।
ভালো লাগলো তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।

                               
Previous Post Next Post