এস এস সি পরীক্ষায় এগিয়ে মেয়েরা | এস এস সি পরীক্ষায় ফাঁঁসের হার সবার পিচনে সিলেট বোর্ড এগিয়ে রাজশাহী ও যশোর বোর্ড

এস এস সি পরীক্ষায় এগিয়ে মেয়েরা | এস এস সি পরীক্ষায় ফাঁঁসের হার সবার পিচনে সিলেট বোর্ড এগিয়ে রাজশাহী ও যশোর বোর্ড   


গতবার পাসের হারের দিক থেকে ছাত্রীরা এগিয়ে থাকলেও বেশি সংখ্যক ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এবার এই দুই সূচকই দখলে নিয়ে নিয়েছে ছাত্রীরা।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে মাধ্যমিকের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
এ পরীক্ষায় এবার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন।
 
এক নজরে ফলাফল

বোর্ড
পাশের হার (%)
জিপিএ-৫ (জন)
পাসের হার (%)
পাসের হার (%)

২০১৯

২০১৮
২০১৭
ঢাকা
৭৯.৬২
২৯৬৮৭
৮১.৪৮
৮৬.৩৯
রাজশাহী
৯১.৬৪
২২২৯৫
৮৬.০৭
৯০.৭০
কুমিল্লা
৮৭.১৬
৮৭৬৪
৮০.৪০
৫৯.০৩
যশোর
৯০.৮৮
৯৯৪৮
৭৬.৬৪
৮০.০৪
চট্টগ্রাম
৭৮.১১
৭৩৯৩
৭৫.৫০
৮৩.৯৯
বরিশাল
৭৭.৪১
৪১৮৯
৭৭.৭১
৭৭.২৪
সিলেট
৭০.৮৩
২৭৫৭
৭০.৪২
৮০.২৬
দিনাজপুর
৮৪.১০
৯০২৩
৭৭.৬২
৮৩.৯৮
মাদ্রাসা
৮৩.০৩
৬২৮৭
৭০.৮৯
৭৬.২০
কারিগরি
৭২.২৪
৪৭৫১
৭১.৯৬
৭৮.৬৯
মোট
৮২.২০
১০৫৫৯৪
৭৭.৭৭
৮০.৩৫

আট বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে এবার ১৬ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫২ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৮ লাখ ২০ হাজার ৯৮০ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৬৭২ জন ছাত্রী।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৬২ জন ছাত্র এবং ৭ লাখ ২৯ হাজার ৮৯৫ জন ছাত্রী পাস করেছে।
এই হিসাবে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৮ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৮২ দশমিক ০১ শতাংশ।
অন্যদিকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫২ হাজার ১১০ জন ছাত্র এবং ৫৩ হাজার ৪৮৪ জন ছাত্রী। এবার ছাত্রদের চেয়ে এক হাজার ৩৭৪ বেশি ছাত্রী পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পেয়েছে।
সোমবার আটটি সাধারণ বোর্ড ছাড়াও কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডের যে ফল প্রকাশ করা হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে কম- ৭০ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে।
যদিও এবারের পাসের হার গতবারের চেয়ে দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। গতবছর এই শিক্ষা বোর্ডে মাধ্যমিকে পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৪২ শতাংশ।


এস এস সি পরীক্ষায় এগিয়ে মেয়েরা | এস এস সি পরীক্ষায় ফাঁঁসের হার সবার পিচনে সিলেট বোর্ড এগিয়ে রাজশাহী ও যশোর বোর্ড   


সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৭৫৭ জন শিক্ষার্থী, যা গতবারের চেয়ে ৪৩৪টি কম। গতবার জিপিএ-৫ পায় তিন হাজার ১৯১ জন।
সোমবার বেলা ১২টায় বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কবির আহমেদ।
তিনি বলেন, সাধারণ গণিতে ফলাফল খারাপ হওয়ায় জিপিএ-৫ কিছুটা কমেছে। তবে পাসের হার গতবছরের তুলনায় বেড়েছে।
সার্বিক ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
সিলেট বোর্ড থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক লাখ ১৩ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮০ হাজার ১৬২ জন।
পাস ও জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা।
ছেলেদের পাসের হার ৭২ দশমিক ২১ শতাংশ ও মেয়েদের পাসের হার ৬৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
জিপিএ-৫ পাওয়া দুই হাজার ৭৫৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে এক হাজার ৪২৬ ও মেয়ে এক হাজার ৩৩১ জন।
সিলেটের চার জেলায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে ২২টি প্রতিষ্ঠানের। কেউ পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠান নেই।
বিভাগের চার জেলার মধ্যে সিলেট জেলায় পাসের হার ৭০ দশমিক ৩৫, হবিগঞ্জে ৭১ দশমিক ৫৩, মৌলভীবাজারে ৬৯ দশমিক ৫৭ ও সুনামগঞ্জে ৭২ দশমিক ২৫ শতাংশ।


এদিকে এবার যশোর  বোর্ড থেকে পাসের হার ৯০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।  
দুই বছর আগে ২০১৭ সালে এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ০৪ শতাংশ। কিন্তু গতবছর পাসের হার ৭৬ দশমিক ৬৪ শতাংশে নেমে যায়।
সেখান থেকে পাসের হার এক লাফে ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে এবার দ্বিতীয় স্থানে যশোর শিক্ষা বোর্ড।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মধাব চন্দ্র রুদ্র বলছেন, এবার যারা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে, তারা সবাই ছিল ‘ভালো মানের’ শিক্ষার্থী। মূলত তাদের হাত ধরেই এক বছর বাদেই মাধ্যমিকে ভালো ফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।    
এই বোর্ড থেকে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে নয় হাজার ৯৪৮ জন।
সোমবার বেলায় ১২টায় যশোর প্রেস ক্লাবে মধাব চন্দ্র রুদ্র ফল ঘোসণা করে জানান, যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার এক লাখ ৮২ হাজার ৩১০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে, তাদের মধ্যে থেকে উর্ত্তীণ হয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৮ জন।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮১ হাজার ৬৩৭ জন ছাত্র এবং ৮৪ হাজার ৫১ জন ছাত্রী।
অর্থাৎ, পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা। ছেলেদের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং মেয়েদের ৯২ দশমিক ২৪ শতাংশ।

এস এস সি পরীক্ষায় এগিয়ে মেয়েরা | এস এস সি পরীক্ষায় ফাঁঁসের হার সবার পিচনে সিলেট বোর্ড এগিয়ে রাজশাহী ও যশোর বোর্ড   


এ শিক্ষা বোর্ডে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবার ২৭৫টি।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, “যশোর বোর্ডে এবছর ফলাফল বিগত বছরগুলোর চেয়ে ভাল হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে এবছর যারা পরীক্ষার্থী ছিল তারা সকলেই ভালো মানের শিক্ষার্থী।
“এ পরীক্ষার্থীরা সবাই নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ কাউকে মূল পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া এ পরীক্ষার্থীরা বোর্ডের প্রশ্ন ব্যাংকের আওতায় অষ্টম শ্রেণি থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। সে কারণে বোর্ডের প্রশ্নের ধরন তাদের কাছে নতুন নয়।”
যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পাসের হারে এগিয়ে খুলনা জেলা। এই জেলা থেকে পাস করেছে ৯৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থী।
এছাড়া সাতক্ষীরায় পাসের হার ৯৩.৫৪, বাগেরহাটে ৯২.৯৪, যশোরে ৯০.৫৫, মেহেরপুরে ৯০.২৭, কুষ্টিয়ায় ৮৭.৯৮, চুয়াডাঙ্গায় ৮৭.৯৮, নড়াইলে ৮৪.১৫, ঝিনাইদহে ৮৯.৬১, মাগুরায় ৯১.৯৮ শতাংশ।

                               
Previous Post Next Post