একাদশ শ্রেনীতে ভর্তির আবেদন পদ্ধতি ২০১৯

একাদশ শ্রেনীতে ভর্তির আবেদন পদ্ধতি | কিভাবে কলেজে ভর্তির জন্য Apply করবেন | একাদশ শ্রেনীতে ভর্তির নতুন নিয়ম  

সরকারি ও বেসরকারি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কলেজ/মাদ্রাসা/কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে একাদশ শ্রেণিতে ১ম পর্যায়ে ইন্টারনেট অথবা মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে ১২ মে থেকে ২৩ মে (যারা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করবে তাদের ও এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে) এর মধ্যে online –এ আবেদনপত্র দাখিল করা যাবে। আবেদন ফি (Teletalk / Rocket / Surecash এর মাধ্যমে) জমা দেওয়া যাবে।
২য় পর্যায়ে ১৯ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এবং ৩য় পর্যায়ে ২৪ জুন ২০১৮ আবেদন করা যাবে। ভর্তির আবেদন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে দেওয়া হলোঃ,
একাদশ শ্রেনীতে ভর্তির আবেদন পদ্ধতি | কিভাবে কলেজে ভর্তির জন্য Apply করবেন | একাদশ শ্রেনীতে ভর্তির নতুন নিয়ম

কলেজ পছন্দক্রম সাজানোর পরামর্শঃ-
অনলাইনে আবেদনের সময় ঠিকঠাকমত পছন্দের কলেজের তালিকা তৈরী করতে না পারাই অনেকেই তাদের পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারে না। এক্ষেত্রে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারলে আশা করি এই জামেলাটা হবে না।
তাহলে আসুন আমরা জেনে নেই কিভাবে আমরা আমাদের ১০ টি কলেজের লিস্ট তৈরী করবোঃ-
প্রথমেই আপনাকে ভাবতে হবে যে আপনার পয়েন্ট নিয়ে মানে আপনার অর্জিত GPA এর উপরই নির্ভর করবে আপনার পছন্দের কলেজে চান্স পাবেন কি না।সেই হিসেবে আপনার যেই কলেজে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা বেশী সেই কলেজের নামটা দিবেন। তারপর যেই কলেজে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেই কলেজের নামটা দিবেন ২য় নাম্বারে । ঠিক একইভাবে আপনার পরবরর্তী ৮টি পছন্দের কলেজের নাম সিলেক্ট করে দিবেন ।
কলেজের নামগুলি সিলেক্ট করার সময় ঐ কলেজের ডিমান্ড মানে কত পয়েন্ট হলে চান্স পাওয়া যাবে তার সম্পর্কে একটু অবগত হয়ে নিবেন। কিছু কিছু কলেজ আছে যারা তাদের কলেজে আবেদনের জন্য সর্বনিম্ন কত পয়েন্ট লাগবে তা উল্লেখ করে দেই। আর যদি আপনি ঐইসব কলেজগুলা সম্পর্কে আপনি আন্দাজ করতে পারবেন যে আপনি কোন কলেজে চান্স পাবেন আর কোন কলেজে চান্স পাবেন না।

অন-লাইনের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করার পদ্ধতি-

আবেদন পদ্ধতি: অনলাইনে আবেদনের পূর্বে শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র টেলিটক/রকেট/শিওরক্যাশ ব্যবহার করে অন-লাইনের আবেদন ফি SMS এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। প্রার্থীকে তার এসএসসি/সমমানের পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড, পাসের সন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে টেলিটক/রকেট/শিওরক্যাশ এর মাধ্যমে ১৫০/- টাকা ফি জমা প্রদান করতে হবে।
ক) টেলিটকের মাধ্যমে ফি প্রদান পদ্ধতিঃ
১. টেলিটকের প্রিপেইড মোবাইল ব্যবহার করতে হবে। মোবাইলের Message (Option)-এ গিয়ে নিম্নলিখিত নিয়মে আবেদন ফি প্রদান করতে হবেঃ
CAD<space>WEB<space>এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের Board এর নামের প্রথম তিন অক্ষর<space>এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের Roll<space>এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের Year লিখে 16222 নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
ফিরতি এসএমএস এ আবেদনকারীর নাম এবং আবেদন ফি বাবদ ১৫০ কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন কোড প্রদান করা হবে।
ফি প্রদানে সম্মত থাকলে ম্যাসেজ অপসন এ গিয়ে CAD<space>YES<space>PIN<space>CONTACT NUMBER (বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত মোবাইল নম্বর) লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
ফি সঠিকভাবে জমা হলে প্রার্থীর মোবাইলে নিশ্চিতকরণের একটি Transaction ID সহ SMS যাবে।
টেলিটক/রকেট/শিওরক্যাশ মাধ্যমে নির্ধারিত আবেদন ফি ১৫০টাকা জমা দেওয়ার পর আবেদনকারীকে নির্ধারিত website- এ (www.xiclassadmission.gov.bd)  Apply Online -এ Click করতে হবে।
এরপর প্রদর্শিত তথ্য ছকে এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রোল নম্বর, বোর্ড ও পাসের সন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সঠিকভাবে এন্ট্রি করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ হলে আবেদনকারী একটি ফরম পাবে, সেটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। একইভাবে সর্বনিম্ন ০৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে প্রার্থীকে।
অনলাইনে আবেদন : অনলাইনে এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে হবে- www.xiclassadmission.gov.bd  অনলাইনে ভর্তি আবেদনে পছন্দের ১০টি কলেজকে নির্বাচন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

SMS এর মাধ্যমে যেভাবে ভর্তির আবেদন করবেন-

SMS এর মাধ্যমে আবেদন শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড সংযোগ থেকে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে। আবেদনের জন্য মোবাইল এর মেসেজ অপশনে গিয়ে এভাবে টাইপ করতে হবে-
CAD <space> ভর্তিচ্ছু কলেজ/মাদরাসার EIIN<space>ভর্তিচ্ছু গ্রুপের নামের প্রথম দুই অক্ষর<space>এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর<space>এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রোল নম্বর <space>এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের সন <space>এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রেজিস্ট্রেশন নম্বর <space> ভর্তিচ্ছু শিফটের নাম<space>ভার্সন<space>কোটার নাম (যদি থাকে)
এরপর মেসেজটি send করতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে।
উদাহরণ: CAD 696954 SC DHA 123456 20191212665968 M B FQ
  • এখানে 696954-ভর্তিচ্ছু কলেজ/সমমান প্রতিষ্ঠানের EIIN
  • SC-ভর্তিচ্ছু গ্রুপের নামের প্রথম দুই অক্ষর (Science= SC)
  • DHA-এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর
  • 123456-আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রোল নম্বর
  • 2017-এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের সন
  • 1212665968- আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রেজিস্ট্রেশন নম্বর
  • M- শিফটের নামের প্রথম অক্ষর
  • B-ভার্সন এর প্রথম অক্ষর
  • FQ- মুক্তিযোদ্ধা কোটা।
ভর্তিচ্ছু গ্রুপের কিওয়ার্ডঃ
* সাধারন বোর্ডঃ
Science এর জন্য SC
Humanities এর জন্য HU
Business Studies এর জন্য BS
Home Economics এর জন্য HE
Islamic Studies এর জন্য IS
* মাদরাসা বোর্ডঃ
Science এর জন্য MS
General এর জন্য GE
Muzabbid এর জন্য MU লিখতে হবে
Hifzul Quran এর জন্য HQ লিখতে হবে
* কারিগরি শিক্ষা বোর্ডঃ
[ HSCVOC – (Agro Machinery এর জন্য AM
Automobile এর জন্য AU
Building Maintenance and Construction এর জন্য BC
Clothing and Garments Finishing এর জন্য CG
Computer Operation and Maintenance এর জন্য CO
Drafting Civil এর জন্য DC
Electronic Works and Maintenance এর জন্য EW
Electronic Control and Communication এর জন্য EC
Fish Culture and Breeding এর জন্য FC
Machine Tools Operation and Maintenance এর জন্য MT
Welding and Fabrication এর জন্য WF
Industrial Wood Working এর জন্য IW
Wet Processing এর জন্য WP
Yarn and Fabric Manufacturing এর জন্য YF
Warehouse and Storekeeping এর জন্য WS,
Home Science এর জন্য VH)]
[ HSCBM (Accounting এর জন্য HA
Banking এর জন্য HB
Computer Operation এর জন্য HC
Entrepreneurship Development এর জন্য ED
Agriculture এর জন্য AG )] লিখতে হবে
শিফটের ক্ষেত্রেঃ
*Morning এর জন্য M
Day এর জন্য D
Evening এর জন্য E এবং
ভর্তিচ্ছু কলেজের যদি কোন শিফট না থাকে সে ক্ষেত্রে N লিখতে হবে।
ভার্সনের ক্ষেত্রেঃ
* বাংলা ভার্সনের ক্ষেত্রে B আর ইংলিশ ভার্সন এর ক্ষেত্রে E লিখতে হবে।
কোটার ক্ষেত্রেঃ
* মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য FQ এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিনস্ত দপ্তরসমুহ, স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী এবং প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যদের সন্তানদের কোটার জন্য EQ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঘোষিত বিশেষ কোটার জন্য SQ লিখতে হবে।
কোন শিক্ষার্থী একাধিক কোটার আবেদন করার যোগ্যতা থাকলে কমা (,) দিয়ে একাধিক কোটা উল্লেখ করতে হবে। প্রবাসী কোটার ক্ষেত্রে PQ লিখতে হবে।
কোন ধরনের কোটা না থাকলে কোটার জায়গায় কিছু লিখতে হবেনা।
উল্লেখ্য যে, বিকেএসপি, বিভাগীয় ও জেলা কোটার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী স্বয়ংক্রীইয়ভাবে বিবেচিত হবেন এবং এ জন্য শিক্ষার্থীকে কোন ইনপুট দিতে হবে না।
ফিরতি এসএমএস এ আবেদনকারীর নাম, কলেজ/মাদরাসার EIIN ও নাম, গ্রুপের নাম ও শিফট সহ ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি PIN প্রদান করা হবে।
আবেদনে সম্মত থাকলে Message অপশনে গিয়ে লিখতে হবে-
CAD<space>YES<space>PIN<space>CONTACT NUMBER (শিক্ষার্থীর/অভিভাবকের ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত যে কোন মোবাইল নম্বর) লিখে১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে:


উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাসকৃত আবেদন কারীদের ক্ষেত্রে রোল নম্বর এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর একই বলে বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে রোল নম্বরে অন্তর্ভুক্ত ‘-‘ চিহ্নটি উপেক্ষা করতে হবে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকে শুধুমাত্র টেলিটক এর মাধ্যমে ফি প্রদান করতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য যে,
  • ২৩ মে ২০১৯ তারিখ রাত ১১:৫৯ মিঃ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
  • SMS-এর মাধ্যমে একজন আবেদনকারী একাধিক প্রতিষ্ঠানে (অনধিক-১০টি)/একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক গ্রুপ অথবা একাধিক শিফটে আলাদাভাবে আবেদন করতে পারবে। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই ফি বাবদ ১২০/- (একশত বিশ টাকা) প্রদান করতে হবে।
  • একজন প্রার্থী ইন্টারনেট ও SMS উভয় পদ্ধতি মিলে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পারবে।
  • একই Contact mobile number ব্যবহার করে একাধিক শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে না। একই শিক্ষার্থীর একাধিক আবেদনে একই Contact mobile number ব্যবহার করতে হবে।
আবেদন ফিঃ গতবারের মতো এবারও অনলাইনে আবেদনের জন্য ১৫০ টাকা এবং এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনের জন্য ১২০ টাকা ফি দিতে হবে। তবে এসএমএসে আবেদনের জন্য প্রতি কলেজের জন্য ১২০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
একজন আবেদনকারী একাধিক প্রতিষ্ঠান/ একই প্রতিষ্ঠান এর একাধিক গ্রুপে/ একই প্রতিষ্ঠানে একাধিক শিফটে আলাদা ভাবে আবেদন করতে পারবে, তবে এক্ষেত্রে প্রতিবারই ফি বাবদ ১২০/- টাকা কেটে নেওয়া হবে
আবেদন ফিঃ অন-লাইনে সর্বোচ্চ ১০ টি কলেজে আবেদনের জন্য ১৫০/- টাকা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। উল্লেখ্য, অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১ টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০/- টাকা চার্জ করবে আবার ১০টি করলেও ১৫০/- চার্জ করবে। অর্থাৎ এসএমএস এ আবেদন পদ্ধতির মত কলেজ প্রতি আলাদা চার্জ করা হবে না।
১ম পর্যায়ে আবেদনের সময়সীমাঃ আবেদন প্রক্রিয়া ১২ মে থেকে শুরু হয়ে ২৩ মে (যারা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করবে তাদের ও এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে) পর্যন্ত।
আবেদন যাচাই বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তির সময়সীমাঃ ২৪ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত।
শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষণের পর ফলাফল পরিবর্তিতদের ক্ষেত্রে আবেদনের সময়সীমাঃ ০৩ থেকে ০৪ জুন পর্যন্ত চলবে। 
১ম মেধা তালিকার ফলাফল প্রকাশঃ ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের ১ম মেধাক্রম ১০ জুন এসএমএস এবং স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড বা ওয়েবসাইটে(www.xiclassadmission.gov.bd) প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষার্থীর Selection নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চিত না করলে ১ম পর্যায়ের Selection এবং আবেদন বাতিল হবে): ১১ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত
২য় পর্যায়ের আবেদনের সময়সীমাঃ ১৯ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত
পছন্দক্রম অনুযায়ী ১ম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশঃ ২১ জুন
২য় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর Selection নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চিত না করলে ২য় পর্যায়ের Selection এবং আবেদন বাতিল হবে): ২২ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত।
৩য় পর্যায়ের আবেদনের সময়সীমাঃ ২৪ জুন
পছন্দক্রম অনুযায়ী ২য় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশঃ ২৫ জুন
৩য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশঃ ২৫ জুন
৩য় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর Selection নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চিত না করলে ৩য় পর্যায়ের Selection এবং আবেদন বাতিল হবে): ২৬ জুন পর্যন্ত
ভর্তির সময়সীমাঃ ২৭ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত
ক্লাশ শুরুর তারিখঃ ০১ জুলাই ২০১৯
কলেজ কর্তৃক (Confirmation) নিশ্চিতকরণঃ 
নিবন্ধন ফিঃ মনোনীতদের তালিকা প্রকাশের পর শিক্ষার্থী ১৮৫ টাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়ে নিবন্ধন করবেন, আগে কলেজ বোর্ডকে এ টাকা দিলেও এখন শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বোর্ডকে টাকা জমা দেবে।
নোটঃ-আপনি যদি খুব বেশি না বোঝেন তাহলে আশেপাশের কোন কম্পিউটারের দোকানে চলে যান তারাই সব কিছু করে দিবে। তবে কলেজ বাছাই এর ক্ষেতে অবশ্যই সিনিয়র কারো সাহায্য নিবেন। আর না হলে সামান্য ভুলের কারণে আপনার পছন্দমতো কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে।
প্রার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতিঃ-
প্রার্থী নির্বাচনে কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৮৯ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। অবশিষ্ট আসনের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তান, ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থী, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য, ০.৫ শতাংশ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এবং অপর ০.৫ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। যদি উপর্যুক্ত কোটায় প্রার্থী না পাওয়া যায় টবে সাধারণ কোটার শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের সনাক্তকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে। শিক্ষা, বিকেএসপি এবং প্রবাসীদের সন্তান কোটার ক্ষেত্রে ভর্তির সময় উপযুক্ত প্রমানপত্র দাখিল করতে হবে।
সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।
বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় আনা হবে। প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতা হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ ও রসায়নে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় নিতে হবে।
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের ক্ষেত্রে সমান জিপিএ নিষ্পত্তির জন্য পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত জিপিএ বিবেচনা করা হবে।
এক বিভাগের প্রার্থী অন্য বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট গ্রেড পয়েন্ট একই হলে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতা হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।

স্কুল ও কলেজ সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিজ প্রতিষ্ঠানের স্ব স্ব বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব বিভাগে ভর্তি নিশ্চিত করেই কেবল অবশিষ্ট শূন্য আসনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়মাবলী অনুসরণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে। তবে এ সকল প্রতিষ্ঠানের সকল ভর্তিই অনলাইন হবে।


                               
Previous Post Next Post