কিভাবে নাস্তিকদের কাছে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমান করবেন|আল্লাহর অস্তিত্বের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ |আল্লাহ আছেন তার প্রমাণ

কিভাবে নাস্তিকদের কাছে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমান করবেন|আল্লাহর অস্তিত্বের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ |আল্লাহ আছেন তার প্রমাণ 

কিভাবে একজন নাস্তিকের কাছে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমান করবেন একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন?

কিভাবে একজন নাস্তিকের কাছে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমান করবেন একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন?

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম? আসছালামু আলাইকুম। একজন নাস্তিক লা ইলাহা বিস্বাস করে, মানে কোন প্রভু নেই। এখানে আমাদের অর্ধেক কাজ শেষ। একজন অন্য ধর্মের লোকের এটা মানে না তার অনেক প্রভু মানে।

তাই একজন নাস্তিকের কাছে এখন প্রমান করতে হবে ইল্লালাহ মানে আল্লাহ ছারা। যদি একসাথে বলি লা ইলাহা ইল্লালাহ। আল্লাহ ছারা কোন মাবুদ নাই। একজন নাস্তিক বিস্বাস করে কোন মাবুদ নাই। প্রমান করতে হবে আমাদের আল্লাহ ছারা কোন মাবুদ নাই। আল্লাহ একজন আছেন।

সেই নাস্তিককে প্রশ্ন করেন ধরেন,

কোন একটি অপরিচিত বস্তু সেটা উড়তে পারে,পৃথিবীতে কেউ দেখে নি।পৃথিবীর মানুষ এই বস্তু সম্পর্কে কিছু জানে না।যদি বস্তুটা আপনার সামনে আনা হয়। যদি প্রশ্ন করা হয় বস্তুটা কিভাবে কাজ করে। কোন ব্যক্তি আপনাকে প্রথম বলতে পারবে। তাকে প্রশ্ন করুন কোন ব্যক্তি বলতেন  পারবে এই বস্তুটা কিভাবে কাজ করে। যা পৃথিবীর কোন মানুষ আগে দেখে নাই।
কিছুক্ষন চিন্তা করার পর সে আপনাকে উত্তর দেবে যে আপনাকে বলতে পারবে বস্তুটা কিভাবে কাজ করে প্রথম ব্যক্তি হলো সেই বস্তুটা যে সৃষ্টি করেছে।কেউ বলবে প্রস্তুত কারোক। বলতে পারে উৎপাদনকারী। যে উত্তরই আসুক শব্দটা নিয়ে তর্ক করবেন না মেনে নেন।
অর্থাৎ  উত্তর টা যা যা বলা হয়েছে একি। তবে উত্তরটা মনে রাখুন।

তাকে আবার প্রশ্ন করুন এই বিশ্বজগত কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে, কিভাবে তৈরি হয়েছে?

সে আপনাকে বিগব্যাং এর তিয়রির কথা বলবে যদি সে বিজ্ঞান সম্পর্কে জানে। তাকে আপনি বলবেন পবিত্র কোরআনে শুরা আম্ভিয়ার ৩০ নাম্ভার আয়াতে বিগব্যাং এর কথা সংক্ষেপে বলা হয়েছে।
اَوَ لَمۡ  یَرَ الَّذِیۡنَ  کَفَرُوۡۤا  اَنَّ  السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ کَانَتَا رَتۡقًا فَفَتَقۡنٰہُمَا ؕ وَ جَعَلۡنَا مِنَ الۡمَآءِ کُلَّ  شَیۡءٍ حَیٍّ ؕ اَفَلَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۳۰﴾
আওয়ালাম ইয়ারাল্লাযীনা কাফারূআন্নছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা কা-নাতা-রাতকান ফাফাতাকনা-হুমা- ওয়া জা‘আলনা-মিনাল মাই কুল্লা শাইয়িন হাইয়ি আফালাইউ’মিনূন।
যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখেনা যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে; তবুও কি তারা বিশ্বাস করবেনা?
বিজ্ঞান যা কিছুদিন আগে বলেছে পবিত্র কোরআনে তা ১৪০০শ বছর আগে আল্লাহ বলে দিয়েছেন।
তখন সে বলতে পারে হয়তো একটা মিলে গেছে। তখন কোন তর্ক করবেন না।

এরপর প্রশ্ন করবেন আমরা জানতাম না চাঁদের আলোটা আসলে প্রতিপলিত আলো। এই তো আমরা সেদিন জানলাম তখন সে বলবে হা চাঁদের আলো নিজের আলো নয়। আবিষ্কারটা কবে হয়েছে? 

তখন সে বলবে ৫০ বছর আগে বা ১০০ বছর আগে জেনেছি। 
তখন থাকে বলবেন কোরআন সেটা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ১৪০০ বছর আগে বলে দিয়েছে।
শুরু ফুরকান এর ৬১ নাম্ভার আয়াতে تَبٰرَکَ الَّذِیۡ جَعَلَ فِی السَّمَآءِ  بُرُوۡجًا وَّ جَعَلَ  فِیۡہَا سِرٰجًا وَّ قَمَرًا  مُّنِیۡرًا ﴿۶۱﴾
তাবা-রাকাল্লাযী জা‘আলা ফিছছামাইবুরূজাওঁ ওয়া জা‘আলা ফীহা- ছিরা-জাওঁ ওয়া কামারাম মুনীরা-।
অর্থঃকত মহান তিনি, যিনি নভোমন্ডলে সৃষ্টি করেছেন তারকারাজি এবং তাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ ও জ্যোতির্ময় চাঁদ!
আরো শুরু ইউনুসের ৫ নাম্ভার আয়াতে ہُوَ الَّذِیۡ جَعَلَ الشَّمۡسَ ضِیَآءً وَّ الۡقَمَرَ نُوۡرًا وَّ قَدَّرَہٗ  مَنَازِلَ  لِتَعۡلَمُوۡا عَدَدَ السِّنِیۡنَ وَ الۡحِسَابَ ؕ مَا خَلَقَ اللّٰہُ  ذٰلِکَ اِلَّا بِالۡحَقِّ ۚ یُفَصِّلُ الۡاٰیٰتِ لِقَوۡمٍ  یَّعۡلَمُوۡنَ ﴿۵﴾
হুওয়াল্লাযী জা‘আলাশশামছা দিয়াআওঁ ওয়ালকামারা নূরাওঁ ওয়াকাদ্দারাহূমানা-ঝিলা লিতা‘লামূ‘আদাদাছ ছিনীনা ওয়ালহিছা-বা মা-খালাকাল্লা-হু যা-লিকা ইল্লাবিলহাক্কি ইউফাসসিলুল আ-য়া-তি লিকাওমিইঁ ইয়া‘লামূন।
অর্থঃআল্লাহ এমন, যিনি সূর্যকে দীপ্তিমান এবং চাঁদকে আলোকময় বানিয়েছেন এবং ওর (গতির) জন্য মানযিলসমূহ নির্ধারিত করেছেন যাতে তোমরা বছরসমূহের সংখ্যা ও হিসাব জানতে পার; আল্লাহ এসব বস্তু অযথা সৃষ্টি করেননি, তিনি এই প্রমাণসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন ঐসব লোকের জন্য যারা জ্ঞানবান।
আপনি তাকে জিজ্ঞাস করুন এই গুলো কোরআনে ১৪০০ বছর আগে কে বলেছেন কে বলতে পারেন তিনি সৃষ্টিকর্তা ছারা কে হতে পারেন তিনি আমার আল্লাহ।
তখন যদি সে বলে এটা হয়তো হঠাৎ করে মিলে গেছে নাস্তিক তো তাই বুঝাতে কস্ট হবে তর্ক করবেন না।আপনি বলে যান।

আমরা জানতাম সূর্য স্থির প্রশ্ন করবেন সুর্য স্থির? 

সে বলবে না সূর্য গতিশীল চারপাশে ঘুরছে।আমরা এটা কবে জানলাম এই কিছুদিন আগে ৫০ বছর ১০০ বছর আগে। কিন্তু কোরআন এই কথা বলেছে ১৪০০ বছর আগে।  শুরা আম্ভিয়ার ৩৩ নাম্ভার আয়াতে
وَ ہُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ الَّیۡلَ وَ النَّہَارَ وَ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ ؕ کُلٌّ فِیۡ  فَلَکٍ یَّسۡبَحُوۡنَ ﴿۳۳﴾
ওয়াহুয়াল্লাযী খালাকাল লাইলা-ওয়ান্নাহা-রা ওয়াশ শামছা ওয়াল কামারা কুল্লুন ফী ফালাকিইঁ ইয়াছবাহূন।
(আল্লাহই) সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং সূর্য ও চাঁদ; প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে।
তখনও সে হয়তো বলতে পারে এটা ও হয়তো মিলে গেছে।
এরপর ও তর্ক করবেন না।বলে যান।

বিজ্ঞান পানিচক্র সম্পর্কে কিছু দিন আগে বলেছে।

কিন্তু পবিত্র কোরআন আমাদের বলছে পানিচক্র সম্পর্কে ১৪০০ বছর আগে, শুরা জুমার এর ২১ নাম্ভার আয়াতে
اَلَمۡ  تَرَ  اَنَّ اللّٰہَ اَنۡزَلَ مِنَ السَّمَآءِ  مَآءً فَسَلَکَہٗ  یَنَابِیۡعَ فِی الۡاَرۡضِ ثُمَّ یُخۡرِجُ بِہٖ زَرۡعًا مُّخۡتَلِفًا  اَلۡوَانُہٗ  ثُمَّ یَہِیۡجُ  فَتَرٰىہُ مُصۡفَرًّا ثُمَّ یَجۡعَلُہٗ  حُطَامًا ؕ اِنَّ فِیۡ  ذٰلِکَ لَذِکۡرٰی لِاُولِی الۡاَلۡبَابِ ﴿٪۲۱﴾
আলাম তারা আন্নাল্লা-হা আনঝালা মিনাছছামাই মাআন ফাছালাকাহূইয়ানা-বী‘আ ফিল আরদিছুম্মা ইউখরিজূবিহী ঝার‘আম মুখতালিফান আলওয়া-নুহূছু ম্মা ইয়াহীজুফাতারাঁ-হু মুসফাররান ছুম্মা ইয়াজ‘আলুহূহুতা-মা- ইন্না ফী যা-লিকা লাযিকরা-লিঊলিল আলবা-ব।
অর্থঃ-তুমি কি দেখনা যে, আল্লাহ আকাশ হতে বারি বর্ষণ করেন; অতঃপর ভূমিতে নির্ঝর রূপে প্রবাহিত করেন এবং তদ্বারা বিবিধ বর্ণের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর ওটা শুকিয়ে যায় এবং তোমরা ওটা পীত বর্ণ দেখতে পাও, অবশেষে তিনি ওটা খড়কুটায় পরিণত করেন? এতে অবশ্যই উপদেশ রয়েছে বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্য।
বিজ্ঞান বলেছে সমূদ্র থেকে পানি উপরে চলে চায় তারপর মেঘ সৃষ্টি হয়। মেঘ পূঞ্জবৃত হয় বর্জপাত হয় তারপর মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়।
এ কথা পবিত্র কোর আনের অনেক জায়গায় আছে শুরা মুমিনুর এর ১৮ নাম্ভার আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে
وَ اَنۡزَلۡنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءًۢ بِقَدَرٍ فَاَسۡکَنّٰہُ  فِی الۡاَرۡضِ ٭ۖ وَ اِنَّا عَلٰی ذَہَابٍۭ بِہٖ  لَقٰدِرُوۡنَ ﴿ۚ۱۸﴾
ওয়া আনঝালনা-মিনাছ ছামাই মাআম বিকাদারিন ফাআছকান্না-হু ফিল আরদি ওয়া ইন্না-‘আলা-যাহা-বিম বিহী লাকা-দিরূন।
অর্থঃ-এবং আমি আকাশ হতে বারি বর্ষণ করি পরিমিতভাবে, অতঃপর আমি তা মাটিতে সংরক্ষিত করি; আমি ওকে অপসারিত করতেও সক্ষম।
পবিত্র কোরআনের শুরা রুমের ২৪ নাম্ভার আয়াতে বলা উল্লেখ করা হয়েছে।
পবিত্র কোরনের শুরু নুরের ৪৩ নাম্ভার আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছ اَلَمۡ  تَرَ  اَنَّ اللّٰہَ یُزۡجِیۡ سَحَابًا ثُمَّ  یُؤَلِّفُ بَیۡنَہٗ  ثُمَّ یَجۡعَلُہٗ  رُکَامًا فَتَرَی الۡوَدۡقَ یَخۡرُجُ مِنۡ خِلٰلِہٖ ۚ وَ  یُنَزِّلُ مِنَ السَّمَآءِ مِنۡ جِبَالٍ فِیۡہَا مِنۡۢ بَرَدٍ فَیُصِیۡبُ بِہٖ مَنۡ یَّشَآءُ وَ یَصۡرِفُہٗ عَنۡ مَّنۡ یَّشَآءُ ؕ یَکَادُ سَنَا بَرۡقِہٖ یَذۡہَبُ بِالۡاَبۡصَارِ ﴿ؕ۴۳﴾
আলাম তারা আন্নাল্লা-হা ইউঝজী ছাহা-বান ছুম্মা ইউআলিলফুবাইনাহূছু ম্মা ইয়াজ‘আলুহূ রুকা-মান ফাতারাল ওয়াদকা ইয়াখরুজুমিন খিলা-লিহী ওয়া ইউনাঝঝিলুমিনাছছামাই মিন জিবা-লিন ফীহা-মিম বারাদিন ফাইউসীবুবিহী মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াসরিফুহূ‘আম মাইঁ ইয়াশাউ ইয়াকা-দুছানা-বারকিহী ইয়াযহাবুবিলআবসা-র।
অর্থঃ-তুমি কি দেখনা আল্লাহ সঞ্চালিত করেন মেঘমালাকে, অতঃপর তাদেরকে একত্রিত করেন এবং পরে পুঞ্জীভূত করেন? অতঃপর তুমি দেখতে পাও, ওর মধ্য হতে নির্গত হয় বারিধারা। আকাশস্থিত শিলাস্তুপ হতে তিনি শিলা বর্ষণ করেন এবং এর দ্বারা তিনি যাকে ইচ্ছা তার উপর হতে এটা অন্য দিকে ফিরিয়ে দেন; মেঘের বিদ্যুৎঝলক দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়।
এছারা ও শুরা রুমে ৪৮ নাম্ভায়ার আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। অনেক জায়গায় পবিত্র কোরআন এ ব্যাপারে বলেছে।
এই পানিচক্র আবিস্কার করেছিলেন বার্নাড পেলিছি ১৫৮০ সালে। ১৫৮০ সালে আমরা প্রথম এই পানিচত্র সম্পর্কে জানতে পারি। কিন্তু পবিত্র কোরআনে এই পানিচক্র সম্পর্কে ১৪০০শ বছর আগে বলেছে এটা কে বলতে পারে? তিনি আমার আল্লাহ। 

নাস্তিককে প্রশ্ন করুন এই রকম হাজার হাজার প্রশ্ন আছে যেটা বিজ্ঞান কিছদিন আগে বলেছে আর আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ১৪০০শ বছর আগে বলেছেন।

একটি প্রশ্নের জবাবঃ সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছেন?

আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি নাস্তিকরা উপরোল্লিখিত এই যুক্তিটা খণ্ডন করতে পারে না কিন্তু এই যুক্তির উপর ভিত্তি করে পাল্টা আরেকটা যুক্তি পেশ করে । তারা জিজ্ঞাসা করে যে ঠিক আছে যদি সবকিছুরই সৃষ্টি কর্তা থাকে তাহলে সৃষ্টি কর্তাকে কে সৃষ্টি করেছে? হুম, আমি তাদেরকে প্রশ্ন করি একটু ভেবে বলুনতো আমি কোথায় বলেছি যে “সবকিছুরই একটা সৃষ্টিকর্তা আছে”? আমি কখনোই বলি না যে “সবকিছুরই একটা সৃষ্টিকর্তা আছে” বরং সবকিছুই যেটার অস্তিত্বের শুরু আছে সেটারই একটা সৃষ্টিকর্তা আছে । শুরিতেই বলেছিলাম “মহাবিশ্বের একটা শুরু হয়েছিল” সুতরাং এটারও একটা সৃষ্টিকর্তা আছে । যাইহোক, কিন্তু নাস্তিকের মাথা থেকে এটা কোন ভাবেই যাচ্ছে না যে সৃষ্টকর্তা কিভাবে এল, তার অস্তিত্বের শুরু কিভাবে হল? আমি বলি সৃষ্টিকর্তার কোন সৃষ্টিকর্তা থাকতে পারে না আর সৃষ্টিকর্তার কোন শুরুও থাকা সম্ভব না । কারন তাহলে একটা যৌক্তিক অসম্ভাবনার সৃষ্টি হবে । আসুন একাটা উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টা বুঝার চেষ্টা করা যাক । ধরুন আপনি র‍্যাবের একজন চৌকস সৈনিক এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অপারেশনে একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে ধরার জন্য বেড়িয়েছেন । অপারেশনের কোন এক পর্যায়ে আপনারা যাকে খুঁজছেন তাকে আপনি বন্দুক হাতে যেতে দেখলেন । এখন আপনার হাতেও এ কে ৪৭ প্রস্তুত কিন্তু গুলি চালাবার আগে আপনাকে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট হতে অনুমতি নিতে হবে । সংগে সংগে আপনি আপনার পেছনে দাড়িয়ে থাকা আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট অনুমতির জন্য জিজ্ঞাসা করলেন “স্যার, দেই গুলি করে, ক্রস ফায়ার বলে চালিয়ে দেব”? । কিন্তু আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আপনাকে বললেন যে “অপেক্ষা কর আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে আসি” । তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট অনুমতি চাওয়ার পর সেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একই কথা বললেন “অপেক্ষা কর আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে আসি” । এখন এই পরিস্থিতি যদি অসীমভাবে চলতে থাকে তাহলে আপনি কি আদৌও আপনার ওই টার্গেটকে গুলি করতে পারবেন? কখনোই না । আপনি আপনার টার্গেটকে তখনই গুলি করতে পারবেন কেবলমাত্র কেউ যদি আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে এমন থাকে যার আর কারো কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নাই, যিনি self sufficient; আত্বনির্ভর স্বয়ংসম্পূর্ণ । এখন আমরা যদি বলি যে সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করেছেন আরেক সৃষ্টিকর্তা এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন আরেক সৃষ্টিকর্তা এবং এভাবে যদি অনন্তকাল যেতে থাকি তাহলে সৃষ্টিকার্যই শুরু হবে না ঠিক র‍্যাবের সেই সৈনিকের মত কিন্তু সৃষ্টিজগত বিদ্যমান! (এটাকে গণিতবিদরা বলে (infinite regress) “অসীম পশ্চাদগমন” যেটা একটা যৌক্তিক অসম্ভাবনার জন্ম দেয় । আর বিজ্ঞানীদের নিকট “অসীম রাশি” বলতে কিছু নেই কারন এটা পর্যবেক্ষণ যোগ্য নয় এটা একটা কাল্পনিক রাশি । যেমন; অসীম রাশি থেকে কিছু যোগ বা বিয়োগ করলে অসীম রাশিই থাকে এর কোন পরিবর্তন হয়না )। সুতরাং এই যুক্তির আলোকে, সৃষ্টিজগত থেকে এটা স্পষ্টত প্রমানিত যে সৃষ্টিকর্তা একজনই এবং সৃষ্টিকর্তার কোন সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব নয় । আর এই সৃষ্টিকর্তা চিরন্তন, অনন্ত, কালাতীত এবং মহাজগতের বাইরে তথা সৃষ্টির বাইরে যেহেতু এসবই তার সৃষ্টি ।



নিচে একটি ভিডিও দেওয়া হলো ডাঃজাকির নায়েকের এটা থেকে ও আরো অনেক তথ্য পাবেন৷ যে গুলো আমরা মুসলিম হিসাবে জানা জরুরি না হলে 
নাস্তিকেরা যে কোন সময় প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারবেন না।

এই বিষয়ে কোন প্রকার প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বা ইনবক্সে করবেন। ইনশাআল্লাহ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।

Tag:কিভাবে নাস্তিকদের কাছে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমান করবেন,আল্লাহর অস্তিত্বের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ,আল্লাহ আছেন তার প্রমান,আল্লাহর অস্তিত্বের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ,স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ,বিজ্ঞানের আলোকে আল্লাহর অস্তিত্ব,আল্লাহর একত্ববাদের প্রমাণ
                               
Previous Post Next Post