ঢাকায় কোয়ারেন্টিনে থাকা এক ব্যক্তির মৃত্যু এবং মানিকগঞ্জের একটি গ্রাম লকডাউন
★করোনাভাইরাসে এক ব্যক্তির (৪৮) মৃত্যু হয়েছে এমন সন্দেহে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার একটি গ্রাম লকডাউন (বদ্ধাবস্থা) ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ বুধবার সকাল থেকে ওই গ্রাম লকডাউন করা হয়।
★উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ঢাকার একটি হাসপাতালের ক্যাশিয়ার পদে চাকরি করতেন। স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে তিনি ঢাকাতেই থাকতেন। সপ্তাহখানেক আগে তিনি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। এরপর তাঁর কর্মস্থল থেকে তাঁকে হোম কোয়ারেন্টিনে (বাড়িতে পৃথক থাকা) থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই পরামর্শ অনুযায়ী তিনি ঢাকার বাসায় কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।
★উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ঢাকার একটি হাসপাতালের ক্যাশিয়ার পদে চাকরি করতেন। স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে তিনি ঢাকাতেই থাকতেন। সপ্তাহখানেক আগে তিনি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। এরপর তাঁর কর্মস্থল থেকে তাঁকে হোম কোয়ারেন্টিনে (বাড়িতে পৃথক থাকা) থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই পরামর্শ অনুযায়ী তিনি ঢাকার বাসায় কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।
★আজ বুধবার ভোরে তাঁর মৃতদেহ গ্রামে আনা হয়। এরপর বাড়ির কাছে নিজস্ব জমিতে দাফন করা হয়। খবর পেয়ে আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন ওই বাড়িতে যান। এরপর মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে মৃত্যুর আগে তাঁর অসুস্থতার লক্ষণ শোনার পর পুরো গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন।
★উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আইরিন আক্তার বলেন, ওই ব্যক্তি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। তবে কী রোগে তিনি মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তিনি করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণ করতে পারেন, এমন সন্দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে পুরো গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। তাঁর জানাজায় কয়েকজন স্বজন অংশ নেন। ওই সব স্বজনের খোঁজ নিয়ে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
★এ ব্যাপারে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির মৃত্যুসনদে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোনো কিছু উল্লেখ করেননি। ওই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লকডাউনের শর্ত অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
★উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সৌমেন চৌধুরী বলেন, ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তা পরীক্ষা করা হয়নি। এ কারণে তাঁর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সুত্রঃপ্রথম আলো